সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গাজায় অনাহারে অপুষ্টিতে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে শিশু ও মানুষ। শুধু গাজাই নয় বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশেই খাদ্যের অভাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। অথচ সেই বিশ্বেই প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়, বলছে জাতিসংঘ। কিন্তু এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে ৭৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘের নতুন এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বুধবার বিশ্বের খাদ্য অপচয় নিয়ে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য প্রকাশ করে জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)। খবর আল জাজিরা।
২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় অর্ধেক করার চেষ্টা করছে এমন দেশগুলির অগ্রগতি লক্ষ্য করে রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়। সেখানে বলা হয় যে, ২০২২ সালে বিশ্বে এক বিলিয়ন টনেরও বেশি খাদ্য, অর্থাৎ বাজারে পাওয়া সমস্ত পণ্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নষ্ট হয়েছিল। এসব খাবার বেশিরভাগই পরিবারের দ্বারা নষ্ট হয়েছিল বলছে গবেষণাটি। তবে এ গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশের পরই উৎপাদিত খাদ্য বিতরণে বিশ্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংস্থাটির পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “খাদ্য অপচয় একটি বিশ্বব্যাপী ট্র্যাজেডি। সারা বিশ্বে খাদ্য নষ্ট হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত হচ্ছে।”
জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে নষ্ট হওয়া ১০০ কোটি মেট্রিক টন খাবারের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ গৃহস্থালি, রেস্তোরাঁ, খাদ্য পরিষেবা এবং খুচরা খাতের। এতে আরো বলা হয়েছে, প্রায় এক তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া খাদ্য উৎপাদনের খামার থেকে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত পৌঁছানোর সময়ে নষ্ট হয় প্রায় ১৩ শতাংশের উপরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে গৃহস্থালি বা পরিবারগুলো ৬০ কোটি মেট্রিক টনের বেশি খাদ্য নষ্ট করেছে। যা মোট অপচয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ। গড় হিসেবে একজন ব্যক্তি প্রতি বছরে ৭৯ কিলোগ্রাম খাবার অপচয় করে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কেবল উন্নত বিশ্বে নয়, উচ্চ এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও প্রতি বছর জনপ্রতি ৭ কিলোগ্রাম খাবারের অপচয় হয়।