সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নববর্ষ নিয়ে যারা ফেসবুকে অপপ্রচার চালাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া নববর্ষের দিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে সব অনুষ্ঠান, নিষিদ্ধ থাকবে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও ফানুস। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, এসবি প্রধান, ডিএমপি কমিশনারসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বাংলা একাডেমি ও বিসিক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ নববর্ষের সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।
নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারা দেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। থাকবে মেডিকেল টিম। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই, পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয, নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোন ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না। বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।