স্টাফ রিপোর্টার ::
পুলিশের পৃথক অভিযানে ছাতক ও মধ্যনগরে ৫৪৩ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ এবং এর সাথে জড়িত ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ছাতক থানাধীন ভাতগাঁও গ্রাম থেকে জাউয়াবাজার যাওয়ার রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় একটি কাভার্টভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ বস্তা (১৫ হাজার কেজি) ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। একই সাথে দুই চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হল- যশোর কোতয়ালী থানার মুড়লী গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (২৮) এবং সুনামগঞ্জ সদর থানার মইনপুর গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মনাফ (৩০)।
ছাতক থানার এসআই এস.এম. মাইনুল ইসলাম, এসআই আসাদুজ্জামান ও এসআই মো. সিকান্দর আলী সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযানটি পরিচালনা করেন।
পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানি সংক্রান্ত
কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করায় তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে, মধ্যনগর থানার এসআই রফিজুল মিয়া ও এসআই তপন চন্দ্র দাস সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪৩ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ১ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত হলেন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০)। গত বৃহ¯পতিবার (২১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্যনগর থানাধীন কালাঘর গ্রামে পলাতক আসামি মোস্তফা মিয়া ওরফে মস্তু’র বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিসহ পলাতক আসামির হেফাজতে থাকা ১২ হাজার ১৫০ কেজি (২৪৩ বস্তা) ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজেদের কাছে রাখায় তাদের বিরুদ্ধে মধ্যনগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।