‘ধর্মপাশায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার’ গতকালের সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম। এমন ঘটনার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এর কোনও প্রতিকার হচ্ছে না। ভুলে গেলে চলবে না সরকার চাইলেই সবকীছু হয় না। ধর্ষণরোধ সরকার আইন করেছেন কিন্তু তা যথাযথভাবে প্রযুক্ত হচ্ছে না। সমাজ যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না তার প্রভুত প্রমাণ হাজির করা যায়। জাতি এ বিষয়ে একটা কীছু কঠোর সিদ্ধান্তে না এলে এই প্রবণতাকে রোধ করা যাবে না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় জনমানসতায় ধর্ষণের প্রতি ঘৃণা আছে, কিন্তু আসলে তা ঘৃণা নয়, বরং ধর্ষণ কার্যত জননয়নের আড়ালে পছন্দের একটি বিষয় পুরুষ প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে। বিষয়টা অনেকটা এরকম, কেউ না জানলেই হলো। আর জেনে গেলে আইনকে সামলে নিতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না বলেই ধর্ষকের ধারণা। যথাযথভাবে আইন প্রয়োগের নিশ্চয়তা বিধান করে আইনের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। তাছাড়া ধর্ষণের প্রতি সমাজের নির্বিকার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অবশ্যই কাম্য। বলতেই হয় ধর্ষণের বিষয়ে সমাজমানসতায় একটি স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। এই স্থবির অবস্থাকে কীছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মানুষ ধর্ষণের অপরাধের বিরুদ্ধে মারমুখি হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। মাঝে মাঝে ছবির কাহিনীর মতো প্রতিকার করতেও দল বেঁধে লোকে অপরাধীর উপর হামলে পড়ে গণধোলাই দেয়। ধর্ষণ প্রতিরোধে এমন হয় না। বরং সমাজের নির্বিকারতা ধর্ষকের জন্য প্রশ্রয়ের আশির্বাদ হয়ে আবির্ভূত হয়। এ সমাজকে বদলে দিতে হবে। ধর্ষণ প্রতিরোধ ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জনগণের উত্থান ভিন্ন অন্য কোনও বিকল্প আপাতত পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তা-না হলে পরিবার, স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ জাগ্রত হবে না।