‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি বেশ দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গতকালের (১৯ মার্চ ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠে। এই অবস্থা-পরিস্থিতি কেবল সুনামগঞ্জেই নয়, বোধকরি সমগ্র বাংলাদেশেই বিরাজিত। এই সম্পাদকীয়তে তার বিস্তারিত ফিরিস্তি দাখিলের অবকাশ নেই। কেবল বলা যায়, প্রতিবেদনটি প্রতিপন্ন করছে যে, সমগ্র সমাজ ব্যবস্থাটিই চোরাচালানরূপ দুর্নীতির পঙ্কিলতায় নাক পর্যন্ত ডুবে আছে।
যুগপৎ সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসন ও প্রশাসনের বাইরের লোকেরাসহ রাজনীতিক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। এমনকি যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ আছেন তেমনি আছেন সাংবাদিকদের থেকেও কেউ কেউ।
প্রতিবেদনের বিবরণে পরিলক্ষিত হয় যে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের স্তরে স্তরে চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্যে সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো করিবকর্মা প্রকারের ঠুঁটোজগন্নাথ হয়ে বসে আছে এবং এমনকি বাস্তবে এইসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কেউ কেউ চোরাচালান সংঘটনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট আছেন। আবার চোরাচালানের বিষয়টিকে কেউ কেউ স্বীকারও করেছেন এবং প্রতিকারের দাবি করতে কসুর করছেন না। কিন্তু বাস্তবে চোরাচালান চলছেই পুরোদমে এবং বোধকরি একটা সামাজিক বিপ্লব সংঘটিত না হলে বন্ধ হবে না কীছুতেই। বোঝাই যাচ্ছে সমাজটা আর বেশি করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই অবস্থা থেকে সমাজের উদ্ধার চাই, এর একটি রূপান্তর চাই।