স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ঢালাগাঁও গ্রামে ভাতিজার হাতে চাচা আব্দুছ সত্তার (৭০) লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সোমবার আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাশাগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ভাতিজার হামলায় আহত আব্দুছ সত্তারকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার আহত আব্দুছ সাত্তার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দাখিল করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশাগঞ্জ বাজারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাতিজা জাকির হোসেনের (২৪) উপর ক্ষুব্ধ হন চাচা আব্দুছ সাত্তার। এক পর্যায়ে ভাতিজা জাকির হোসেনকে চাচা আব্দুছ সাত্তার কিলঘুষি দেন। পরে চাচা আব্দুছ সাত্তারকে বেধড়ক মারধর করে ভাতিজা জাকির হোসেন, আমির হোসেন, সাব্বির আহমদ এবং তাদের পিতা মনাফ মিয়া। এ সময় বাজারে আসা মানুষজন আব্দুছ সাত্তারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি জাকির হোসেন বলেন, আমার চাচা আব্দুছ সাত্তারের রাগ বেশি। আমাকে খুব মারপিট করেছেন। প্রথমে আমি সহ্য করেছি। কিন্তু পরে বাধ্য হয়েছি হাত তোলতে। এটা আমার অপরাধ হয়েছে। চাচা যেভাবে পিঠাইছেন আমাকে, আমার বাবাও আমাকে এভাবে মারপিট করেননি জীবনে।
মনাফ মিয়া বলেন, আমি ও আমার ভাই সবার বয়স হয়েছে। ভাতিজা সকলেই যুবক। এদের সবাই সমান নয়। আমার ভাইয়ের উপর যেমন আক্রমণ হয়েছে তেমনি আমার ছেলের উপরও ভাইয়ে আক্রমণ করেছেন। হয়ত সইতে না পেরে চাচা হিসাবে মেরেছেন। ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করার পর হয়তো সেও সামান্য মারামারি করেছে। এমন ঘটনায় আমিও দুঃখিত।
আহত আব্দুছ সাত্তার বলেন, আমি ও আমার অন্যান্য ভাইয়েরা ছোট ভাই মনাফ মিয়ার ছেলেদের উৎপাতে নানাভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছি। ইজ্জতের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আমরা মনাফের পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। আমার মাথায় মারাত্মক আঘাত করেছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।