বিজন সেন রায়
সুনামকণ্ঠ সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই শুরু হয় পত্রিকাটির পথচলা। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারিতে দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দৈনিক হিসেবে ক্লান্তিহীন পথচলায় সুনামকণ্ঠ আজ তৃতীয় বর্ষে পা রাখছে। এই শুভলগ্নে আমরা সকলের প্রতি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সুনামকণ্ঠ’র পথচলা কখনোই মসৃণ ছিল না। সত্য প্রকাশের জন্য আমরা নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। নানা আঙ্গিক থেকে তারা সুনামকণ্ঠকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে ও করছে। কিন্তু তাদের সব ষড়যন্ত্র মোটেও স্থায়ীত্ব পায়নি সুনামগঞ্জবাসীর কাছে। আমরা সকল ষড়যন্ত্র, সকল বাধা-বিপত্তিকে মোকাবেলা করে এগিয়ে চলছি। সুনামকণ্ঠ সুনামগঞ্জের সাংবাদিকতায় অনন্য ধারার সৃষ্টি করেছে, সৃষ্টি করছে ইতিহাস। আমরা সত্যপ্রকাশ করছি দ্বিধাহীন চিত্তে।
সুনামকণ্ঠ দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশে যিনি সাহসী ভূমিকা রেখেন তিনি হচ্ছেন পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি মো. জিয়াউল হক। তাঁর উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা ছাড়া সাপ্তাহিক সুনামকণ্ঠ দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হতো না। সাপ্তাহিক থেকে দৈনিকের দীর্ঘ পথচলায় তিনি সব সময়ই পাশে থেকেছেন, সাহস দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই সুনামকণ্ঠের একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের। যারা প্রতিদিনের সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে নিবেদিত রয়েছেন দৃঢ় প্রত্যয়ে। তাদের প্রত্যেকের চেষ্টায় দিন দিন সুনামকণ্ঠ আরো পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অবশেষে দৈনিক সুনামকণ্ঠের পক্ষ থেকে সবার কাছে যেমন সহযোগিতা কামনা আমাদের, তেমনি দায়বদ্ধ অঙ্গীকার পালনেরও নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তৃতীয় বর্ষে পদার্পণলগ্নে সুনামকণ্ঠের অগণিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিক, বিজ্ঞাপনদাতা, হকার, এজেন্ট সকলকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা-অভিনন্দন।