স্টাফ রিপোর্টার ::
সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করে ভোট আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের আগের রাতে সিসি ক্যামেরা ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ব্যবহারের মাধ্যমে এই ব্ল্যাকমেইল করা হয়। ব্ল্যাকমেইল করে এক প্রার্থী নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অনুষ্ঠিত হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি ছিল এমন অভিযোগ করেছিলেন অনেকে। ভোটের মাঠে টাকা ছড়িয়ে জয়লাভের আশায় ছিলেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। ১৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী সংখ্যা বেশি থাকায় টাকাওয়ালারা বেছে নেন কৌশলী পদ্ধতি। টাকা নেয়া ভোটাররা যাতে ‘প্রতারণা’ না করতে পারেন সেজন্য মোবাইল ফোনে কথোপকথন রেকর্ড, পবিত্র গ্রন্থ ছোঁয়ে প্রতিজ্ঞা এমনকি সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। এতে অনেক প্রার্থীর কাজও হয়েছে। তবে বেকায়দায় পড়েছেন ভোটাররা। টাকা নিয়ে ভোট না দেয়ায় ভোটারদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন পরাজিত প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, ভোটের আগের রাতে খবর দেয়া হয় সদস্য প্রার্থীর বাসায় যাওয়ার জন্য। সেখানে গেলে তার হাতে টাকাভর্তি একটি খাম ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে বলা হয় টাকা নেয়ার বিষয়টি গোপনে সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মার্কায় (প্রার্থীর মার্কায়) ভোট দিতে হবে। না হলে টাকা নেয়ার বিষয়টি ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হবে। অনেকটা বাধ্য হয়েই তিনি ভোট দেন বলে এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন। এ ভোটার আরো বলেন, অনেক ভোটারকে এভাবেই ব্ল্যাকমেইল করে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
ব্ল্যাকমেইলের শিকার আরেক ভোটার বলেন, ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে তার হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় প্রার্থীর বুকে হাত দেয়ার জন্য। পরে ওই প্রার্থী বলেন, বুকে হাত দিয়েছেন, চাদরের নিচে পবিত্র জিনিস আছে। আপনি বেঈমানি করতে পারবেন না। পরে প্রার্থী টাকা ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও প্রার্থী টাকা ফেরত নেননি।
এছাড়া বেশ কয়েকজন ভোটার বলেন, কিছু সদস্য প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন। তারা নির্দিষ্ট ভোটারদের নিজ উদ্যোগে টাকা দিয়েছেন এবং কথাবার্তা মোবাইলে রেকর্ড করেছেন। এখন অনেকেই নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে মোবাইল রেকর্ডের কথা স্মরণ করিয়ে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছেন। টাকা ফেরত চাচ্ছেন, টাকা না দিলে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।