1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শতবর্ষী কবি আব্দুল ওয়াহিদ ছিলেন অখণ্ড সুনামগঞ্জের প্রতীক

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

অ্যাড. শহীদুজ্জামান চৌধুরী
মহকুমা থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় পরিণত হয় ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ। জেলা হিসেবে নতুন পরিচিতি লাভ করায় এক শ্রেণীর লোকজন মনে করেছিল জেলার ভৌগোলিক সীমায় পরিবর্তন আসতে পারে। অথবা নানান যৌক্তিকতা প্রদর্শনে ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাতক উপজেলাকে সিলেট জেলার সাথে যুক্ত করা সম্ভব হবে। তখনকার সময়ে সিলেটের দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকায় এ নিয়ে দুই মতের লেখালেখি শুরু হয় পুরোদমে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা মরহুম ডাক্তার হারিছ আলী আরো কেউ কেউ লিখেন ছাতককে সিলেটের সাথে যুক্তকরণের পক্ষে। আর সুনামগঞ্জের পক্ষে লিখেন তারই পরম বন্ধু লেখকের আপন মামা শাহ ফজলুল কুদ্দুছ আহমদ, লেখক নিজে আরও অনেকে। কলমযুদ্ধ চলতে চলতে সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ খানের হুইসেলে এক সময় স্তব্ধ হয় প্রসঙ্গটি। এনিয়ে নড়া চড়া কমে যায় আস্তে আস্তে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে চলতে থাকে পরিবর্তনের ফাইল ওয়ার্ক। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের বছর খানেক পর শুনা গেল ছাতক উপজেলা সিলেটের সাথে যুক্ত হয় অবস্থা। ফাইল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই সুনামগঞ্জের জন্য সংবাদটি ছিল বিয়োগাত্মক ও পীড়াদায়ক।
এমনতর সংবাদে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ। কবি আব্দুল ওয়াহিদ সুনামগঞ্জের অখ-তা রক্ষায় মরিয়া হয়ে যোগাযোগ করেন সর্বমহলে। এ বিরুদ্ধ ¯্রােতের যাত্রার যাত্রী তিনি প্রথমে একাই ছিলেন। সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব, ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ইকবাল হোসেন চৌধুরী কবিকে আশ্রয় দেন। ক্রমে ক্রমে কবিকে ঠাঁই দেন জেলা বার, তখনকার সুনামগঞ্জের পাঠকপ্রিয় পত্রিকা সাপ্তাহিক স্বজন। সাপ্তাহিক স্বজন তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জনমত তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়। প্রাক্তন মন্ত্রী ইকবাল হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় সুনামগঞ্জের সুধীমহলের ডাকে অখ-তা রক্ষার তাগিদে সুনামগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে সভা করা হয়। গঠন করা হয় জেলা ভঙ্গ প্রতিরোধ কমিটি।
সুনামগঞ্জ জেলা ভঙ্গ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ২৭ মে ১৯৯২ সনে জাউয়াবাজারে এক বিরাট জনসভা করা হয়। এলাকার প্রবীণ মুরব্বি আলহাজ জুবেদ আলী পীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নিজের পায়ে কুড়াল না মারার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে জেলার অখ-তা রক্ষার প্রয়োজনে হরতাল অবরোধ আমরণ অনশনের দৃপ্ত শপথ উচ্চারিত হয়। জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ-এর সুসংগঠিত নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন শিক্ষক যুথিকা রনজন ভৌমিক, রেজাউল করিম রেজা, রসক আলী, ডা. আব্দুল মান্নান পীর, নজরুল ইসলাম চাঁদ, হাজী ওয়াছিদ প্রমুখ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। জেলা ভঙ্গ প্রতিরোধ কমিটি সুনামগঞ্জ হতে যোগদান করেন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, জহুর আলী, আলী ইউনুছ, সুরেশ দাস, আলফাত উদ্দিন, রইছ উদ্দিন প্রমুখ অ্যাডভোকেটগণ। আরও উপস্থিত থাকেন মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, আব্দুল হাসিম, প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাপ্তাহিক স্বজন সম্পাদক শহীদুজ্জামান চৌধুরী, সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং জেলা ভঙ্গ প্রতিরোধ কমিটির সচিব অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু। জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় জেলার সকল শ্রেণী পেশার লোকদের সমাবেশ ঘটে জাউয়াবাজারে। জাউয়াবাজারে সফল সভা অনুষ্ঠানের পর সুনামগঞ্জ জেলার অখ-তা রক্ষার ¯্রােত বইতে শুরু করে বোকা নদীতে। সাংবাদিক হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও আইনুল ইসলাম বাবলু এই জনমতের পক্ষে তাদের লেখনীকে সোচ্চার করেন। এভাবে কবি আব্দুল ওয়াহিদের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা প্রবহমান জনমতের তাগিদে জেলা বার জেলার অখ-তা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রতিনিধি দল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয়। কবি আব্দুল ওয়াহিদকে সঙ্গে নিয়ে সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী প্রতিনিধিবৃন্দ তৎকালীন এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং বিরোধী দলীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুনামগঞ্জের বিএনপি নেতা ফজলুল হক আছপিয়াসহ সকলে দেখা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা সুনামগঞ্জ ভাঙ্গার অসারতার কথা। ঐ সময় মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রদত্ত কবি আব্দুল ওয়াহিদকে দেয়া একখানা সার্টিফিকেট দেখানো হলে বেগম খালেদা জিয়া নিবিড়ভাবে সার্টিফিকেট দেখেন এবং ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ জেলার ভৌগোলিক সীমানার পরিবর্তন হবে না। সফল প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হলে সেনবাবু মন্তব্য করেন আগে জানতাম পুরান চাউলে ভাত বাড়ে কিন্তু পুরান কাগজে যে এত কাজ দেয় তা আজকে বুঝা গেল। এভাবে কবি আব্দুল ওয়াহিদের সুনাম, শ্রম, ঘাম, দৌড়াদৌড়ি ও সক্রিয়তায় রক্ষা পায় সুনামগঞ্জ জেলার অখ-তা। সুদূর প্রসারী চিন্তাবিদ জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ আজ ইহলোকে নেই কিন্তু তিনি সুনামগঞ্জবাসীকে ঋণী করে রেখে গেছেন।
১৯৮২ সনে সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার-এর সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ খানের টেবিলে আমার সাথে পরিচয় হয় জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ সাহেবের। সম্পাদক ওয়াহিদ ভাই কবিকে সম্বোধন করতেন নানা। তার কাছ থেকেই জানি কবি আব্দুল ওয়াহিদ তাৎক্ষণিক ছন্দবদ্ধ কবিতা রচনায় পারদর্শী। প্রাসঙ্গিকভাবে বলে নেই বাংলা একাডেমী প্রকাশিত “বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা- সুনামগঞ্জ” এর ৭৭ পৃষ্ঠায় তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি রয়েছে। সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ খানের নানা হিসেবে হয়ে গেলেন আমারও নানা। পরে জানলাম সিলেটের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংবাদিক মহলে তিনি সার্বজনীন নানা। নানার এ পরিচিতি সুনামগঞ্জে আমার মাধ্যমে বাজারজাত হয়। বয়সের বিস্তর ফারাক সত্বেও তাঁতিপাড়ার সিলেট সমাচার পত্রিকা অফিস থেকে জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদের সাথে তিন যুগ আগে যে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল মৃত্যুপূর্ব পর্যন্ত তা ছিল একই ধারায় বহমান।
অকুতোভয় সমাজসেবী, লড়াকু সংস্কারক, সিলেটের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংবাদপত্র অঙ্গনের প্রিয় নানা প্রায় শতবর্ষ বয়সে ২৬ রমজান ১২ জুন ২০১৮ইং মঙ্গলবার বিকাল ৬ ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স ৯৪ বছর। তবে তিনি নিজেই বলতেন এই কার্ড করার সময় তার বয়স ৬/৭ বছর কমিয়ে দেয় কারণ সংশ্লিষ্টরা তাঁর শারীরিক গঠন ও গড়ন এবং সুস্থতা দেখে বিশ্বাস করেনি তিনি এতো বয়স ধারণ করছেন। নানা ছিলেন সুঠামদেহী ঈর্ষণীয় দীর্ঘাকৃতির। তার পায়ের জুতা বাজারে পাওয়া যেত না। অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নিতে হতো। হাজার জনতার ভিড়ে সহজে চিহ্নিত করা যেত সর্বোচ্চ মাপের এই মানুষটিকে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রেসক্লাব, পত্রিকাঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, রাজনৈতিক অঙ্গন, মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটসহ দুই জেলার সুধীমহলে তার ছিল অবাধ বিচরণ। প্রথাগত শিক্ষার ঘাটতি থাকলেও সৃজনশীল মনন ও সামাজিক উন্নয়ন ছিল তার জীবনব্রত। নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার স্থাপন করে পাল্টে দিয়েছেন গ্রামের পরিচয়। তার জন্মস্থান জাউয়া এখন ‘সাহিত্যিক পাড়া’ হিসেবে পরিচয় লাভ করে সরকারি স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
প্রাক্তন সচিব একদা বৃহত্তর সিলেটের জাঁদরেল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ তাকে অত্যন্ত কাছের মানুষ করে নিয়েছিলেন। ফয়জুল্লাহর তিরোধানে তার সন্তানদের নিকটও তিনি একজন সম্মানিত মানুষ ছিলেন। ফলে ঢাকা গেলে তাকে তাদের শেল্টারেই থাকতে হতো। কবি আসাদ চৌধুরী, বেলাল মোহাম্মদ, দেওয়ান আজরফ, কবি দিলওয়ার ছিলেন তার আপনজন। সমকালীন সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জে হেন ব্যক্তিত্ব নেই নানার পরিচয়, নানার কীর্তি জানেন না। নানার প্রতি সকলেই ছিলেন পরম শ্রদ্ধাবনত। নানার কদর ছিল হযরত শাহজালাল (র.)-এর পুণ্য মৃত্তিকার সর্বত্র। এমন কমন নানা বৃহত্তর সিলেটে দ্বিতীয় জন আর নেই।
নানা বসন্তের কোকিল ছিলেন না। সজ্জনদের এমনকি পরিচিতজনের দুঃখ-কষ্টের দিনে নানা পাশে দাঁড়াতেন একান্ত সঙ্গী হয়ে। সাপ্তাহিক সিলেট সমাচারে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ নিয়ে ১৯৮১ সালে তুমুল আন্দোলন হয় সিলেট শহরে। পুলিশের গুলিতে মিছিলে লোক মারা যায়। সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ খানের নিরাপত্তা বিঘিœত হয়। তখন তার পাশে দাঁড়ান বিশাল দেহী ও বিশাল হৃদয়ের কবি আব্দুল ওয়াহিদ। সার্বক্ষণিকভাবে ওয়াহিদ খানকে সঙ্গ দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন করানোর পর নানা তার দায়িত্ব শেষ করেন। এমন আরও দৃষ্টান্ত গুনে শেষ করার মত নয়।
কবি নানার লালিত স্বপ্ন ছিল দক্ষিণ ছাতক নিয়ে জাউয়া বাজার উপজেলা গঠন। এরশাদ সরকারের শেষদিকে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ-এর নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন। এরশাদ সরকারের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেলে তা আর সম্ভব হয়নি।
কৈতক হাসপাতাল নির্মাণে, জাউয়া বাজার পুলিশ কেন্দ্র স্থাপনে এই উন্নয়ন পাগল কবির অবদান স্মরণীয়। তাঁর চিন্তাধারা, মননশীলতা ও সৃজনশীলতা পর্যবেক্ষণে সুনামগঞ্জের প্রথম জেলা পরিষদের একজন সদস্য মনোনীত করা হয় তাকে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম জিলানী চৌধুরী পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। শতবর্ষী এই কবির জীবনালেখ্য অনেক সুদীর্ঘ।
ছাতকের সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন, গোলাপগঞ্জের কবি শেফালী চৌধুরী ও আমার পরিবারের একজন সদস্যের মতো কবি আব্দুল ওয়াহিদ সিলেট ও সুনামগঞ্জের অনেক পরিবারের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি যেমন ছিলেন রাগীব আলীর সুহৃদ তেমনি রাগীব আলীকে অপছন্দকারীদেরও সুহৃদ। অনেক গুণে গুণান্বিত জাউয়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ, সিলেট সমাচার সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ খাঁন ও আমার এক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রায় তিন যুগ আগে।
আমার ছোট ছেলে আশফাকুজ্জামান চৌধুরী সাক্ষাত ও মেয়ে সাবিহা চৌধুরী স্বস্তি-এর জন্মলগ্নে তিনি উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ ক্লিনিকে। ছেলে সাক্ষাত এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে অবকাশকালে ২০০৮-এ সুনামগঞ্জ থেকে একটি সংকলন প্রকাশ করে। সে সংকলনে নানাকে নিয়ে “একজন অশীতিপর পল্লী কবি ও আমাদের ঋণ” নামে একটি প্রবন্ধ লিখে। আমার সাফল্যে আমার পরিবারের সদস্যদের সাফল্যে নানা আপন নানার মতই উল্লসিত হতেন। আমার এই ছেলে ল’তে পি.এইচ.ডি করার জন্য দিল্লীর সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি হতে স্কলারশিপ পেয়েছে এ খবর তিনি পেয়েছেন অজ্ঞান হবার দুই দিন আগে। নিঃসন্দেহে তিনি প্রশান্তিতে একটি অট্টহাসি দিয়েছেন। নানা সব সময় হাসি-খুশি থাকতেন। সময় সময় তার হাসি হতো দেহাকৃতির।
নানা ছিলেন স্বল্প আহারী অট্টহাসিপ্রিয় একজন নিরোগ লোক। এ সদভ্যাসই তাকে শতায়ু দিয়েছে। ১০-০৬-২০১৮ইং তারিখে হঠাৎ করে তার ডায়রিয়া দেখা দেয়। পরদিন তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে দিনগত রাত ১১.০০টায় তার প্রিয় পাঠাগার থেকে ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু জ্ঞান আর ফেরেনি। ১২ জুন বিকাল ৬.০০ টায় হাসপাতাল থেকেই তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
[লেখক : আইনজীবী কলামিস্ট।]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com