জেলার একমাত্র বোরো ফসল ঘরে তুলতে কৃষক পরিবারের সদস্যরা এখন হাওরে অবস্থান করছেন। ফসল তোলার সংগ্রামে এখন তাদের বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত নেই। কৃষরা হাওরে ধান কাটছেন আর কৃষাণীরা ধান প্রক্রিয়াজাত করছেন। জেলার ছোটবড় ১৩৩টি হাওরে প্রায় ৩ লাখ ৭৭৮ হাজার কৃষক বোরো আবাদের সাথে জড়িত। এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। প্রকৃতির আশীর্বাদে এবার বোরো ফসলের বা¤পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে এবার প্রায় ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকার বোরো ফসল উৎপাদিত হবে। বা¤পার ফলন হলেও চাষাবাদের দেনা পরিশোধ করতে মাঠে ধান রেখেই কৃষক কমদামে ধান বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। মধ্যস্বত্বভোগী লোকেরা হাওরে হাওরে কম দামে ধান ক্রয় করতে ব্যস্ত। সরকার মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। কিন্তু কৃষকরা দায়দেনা মেটাতে বাধ্য হয়ে তাদের কাছে সাড়ে ৮শ থেকে ৯০০ টাকা মণে বিক্রি করছেন।
সরকারে ক্রয়কেন্দ্রগুলো এখনো ধান ধান ক্রয় না করাতে কৃষরা পড়েছে আরও বিপাকে। আগামী ৭ মে থেকে সরকার এ কেন্দ্রগুলো খুলে দিবে। ১২৮০ টাকা মণ দরে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের কথা থাকলেও প্রকৃত কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদের খপ্পরে পড়ে বঞ্চিত হন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যেন এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখতে হবে।