বিশেষ প্রতিনিধি ::
শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে ৮ মে। দুটি উপজেলায় বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ দুই নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছিল। দলীয় কোনও নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে না থাকলেও বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী তাদের ভোট দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। তবে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও বৈশাখে ভোটাররা হাওরে ব্যস্ত থাকায় ভোট কাস্ট কম হয়েছে বলে জানান বিএনপির বহিষ্কৃত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে শাল্লা উপজেলায় ৪৫ ভাগ ও দিরাই উপজেলায় ৩৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এডভোকেট অবনী মোহন দাস ঘোড়া প্রতীকে ২৪ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি (বহিষ্কৃত) গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে ১৫ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়েছেন। পরাজয় মেনে নিয়ে এবং ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের নির্দেশনা মানেননি। তারা অনেকেই আমাকে ভোট দিয়েছেন। না হলে আমি এত ভোট পেতাম না। তবে নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও বৈশাখে কৃষকরা ব্যস্ত থাকায় তার ফলাফল কাক্সিক্ষত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া ভোটের প্রতি এক ধরনের অনীহার কারণেও ভোট কম কাস্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে নির্বাচনে কোন কোন কারচুপি ও অনিয়ম হয়নি।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা দিরাইয়ে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া ১৫ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়েয়েছেন। তিনিও বিএনপির কিছু ভোট পেয়েছেন বলে জানান। তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভোটের প্রতি মানুষের এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়েছে। তাই ভোট কম কাস্ট হয়েছে। তবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
দিরাই উপজেলার কৃষক নেতা অমরচাঁন দাস বলেন, ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির তৃণমূলের কিছু ভোটারও ভোট দিয়েছেন। তবে এক ধরনের ভোটাররা ভোটের প্রতি অনীহার কারণে কেন্দ্রে যাননি।
দিরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দেইনি। আমাদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বিএনপি ভোটে না যাওয়ার কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম। তবে যারা অসচেতন কর্মী তাদের কেউ কেউ ভোট দিতে পারে। বিএনপি ভোটে গেলে অবশ্যই ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতো।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অঙ্গিকারাবদ্ধ ছিলাম। আমরা সেই দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। ভোটে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি।