স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের আমড়িয়া গ্রামের মাঠে ঘোড়দৌড়ের নামে একটি চক্র ওপেন জুয়ার আসর বসিয়েছে। দিনে নামকাওয়াস্তে কয়েকটি ঘোড়া দিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে দেখা গেলেও রাতে বসে জুয়ার আসর। কাপড়ের প্যান্ডেলে ছোট ছোট ও সারি সারি খুপরিঘর তৈরি করে সেসব ঘর রাতচুক্তি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, স্থানীয় একটি চক্র স্থানীয় অবৈধভাবে ওপেন এই জুয়ার আসর বসিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আমড়িয়া গ্রামের মাঠে একটি চক্র ঘোড়দৌড়ের নাম দিয়ে তিনদিনব্যাপী জুয়ার আসর বসিয়েছে। নামে ঘোড়দৌড় হলেও জুয়াই হচ্ছে প্রধান। জুয়া খেলার জন্য কাপড় দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করে প্রায় শতাধিক খুপরি ঘর বানানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার জুয়াড়িকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে রাতচুক্তি খেলায় বসছেন। জানা গেছে, একটি খুপরি ঘর রাতচুক্তি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে জুয়াড়িরা। তাছাড়া আরো নানা ধরনের জুয়ার খেলাও রয়েছে। যা এলাকার উঠতি যুবকরা ছোট ছোট দানে খেলে থাকে। আয়োজকরা জুয়াড়িদের কাছ থেকে সেই টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বণ্টন করে অবশিষ্ট নিজেরা নিয়ে যান।
এদিকে ওপেন জুয়ার আসর বসানোয় এলাকার উঠতি যুবকরা ঘর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুকিয়ে এনে জুয়া খেলায় বসছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে ওপেন জুয়া বন্ধের জন্য স্থানীয় পুলিশকে মৌখিকভাবে এলাকাবাসী অভিযোগ করলেও এতে কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলা উদ্দিন বলেন, কারা ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করেছে আমার জানা নেই।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো. আল আমিন বলেন, শুনেছি এলাকাবাসী ঘোড়দৌড় খেলার আয়োজন করেছেন। তবে জুয়া খেলার বিষয়টি আমার জানা নেই। পুলিশ সুবিধা নিয়ে জুয়ার আসরের অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মানুষতো কত কিছুই বলে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে কাউকে ঘোড়দৌড়ের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ওপেন জুয়া খেলার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনবিরোধী এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আমি এখনই ওসিকে বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। জুয়ার আসরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।