বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছ থেকে একজোট হয়ে ভোটের জন্য দেয়া টাকা আদায় করছেন পরাজিত প্রার্থীরা। তারা সেইসব জনপ্রতিনিধিদের তালিকা করেছেন, যারা একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উৎকোচ নিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, পরাজিতরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়া জনপ্রতিনিধি সম্মুখে গিয়ে প্রশ্ন করছেন, আমরা সবাই আপনাকে ভোটের জন্য টাকা দিয়েছি। আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন। যাকে ভোট দিয়েছেন, তার টাকা রেখে বাকিদের টাকা ফেরত দিন।
সূত্র জানায়, এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে। জেলা পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডে পরাজিত তিন প্রার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাধিক ইউপি সদস্যের নিকট থেকে ভোটের জন্য দেয়া টাকা আদায় করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ভোটের জন্য টাকা নিয়েছেন এমন জনপ্রতিনিধিরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ভোটের জন্য দেয়া উৎকোচের টাকা আদায় করতে জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডে উৎকোচ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আক্তাপাড়া বাজারে শালিস বৈঠক করেছেন পরাজিত সদস্য প্রার্থীরা। ওই বৈঠকে তিনজন পরাজিত প্রার্থী উপস্থিত হয়ে জনপ্রতিনিধিদের নিকট ভোটের জন্য দেয়া টাকা ফেরত দেয়ার দাবি করেন। এলাকাবাসী বিষয়টি বিচার-শালিস করে দেয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নেন। সূত্র আরো জানায়, ওই তিন পরাজিত সদস্য প্রার্থীর ইউনিয়নে ঘুষ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আরো শালিস বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন।
১০নং ওয়ার্ডে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে পাঁচ ইউপি সদস্যকে উৎকোচের টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করে ওই টাকা ফেরত চান পরাজিত এক সদস্য প্রার্থী। পরে পাঁচ ইউপি সদস্য এক হয়ে পরাজিত ওই সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় হুমকি প্রদানের অভিযোগ করে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ায় এইসব বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।