বিশেষ প্রতিনিধি ::
এবার বছরের নতুন দিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝকঝকে ছাপা ও রঙিন প্রচ্ছদে মোড়া বই হাতে পাবে। হাসি আনন্দে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষাগ্রহণের লক্ষ্যে এবং নতুন বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে মহাজোট সরকার গত কয়েক বছর ধরে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। এবারও সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় শতভাগ বই পাঠানো হয়েছে। সেই বই ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে প্রতিটি বিদ্যালয়ে। সুনামগঞ্জের সরকারি – বেসরকারি – ইবতেদায়ি মাদ্রাসা মিলিয়ে এবার প্রায় ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫১১জন কোমলমতি শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৪২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেনসহ প্রায় ২ হাজারটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫১১জন শিক্ষার্থী নিবন্ধিত আছে। ২০১৭ সনে ১১ উপজেলায় বরাদ্দকৃত মোট বইয়ের পরিমাণ ২১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২১টি বইয়ের মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ১১ উপজেলায় ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৭০টি বই পাওয়া গেছে। উক্ত তারিখ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৭৩.৬৭ ভাগ, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৮৮ভাগ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৮৭ ভাগ, ছাতক উপজেলায় ৮৯ ভাগ, তাহিরপুর উপজেলায় ৫০.৪২ভাগ, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই, জগন্নাথপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় শতভাগ বই পাওয়া গেছে। তবে গত ২৯ ডিসেম্বর অবশিষ্ট উপজেলাগুলোতেই শতভাগ বই এসে পৌঁছেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চতুর্থ শ্রেণির গণিত বইটি এসে পৌঁছেনি। মঙ্গলবারের মধ্যেই এই বইটিও এসে পৌঁছবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এছাড়া বাফার স্টকেও বরাদ্দে শতভাগ বই পাওয়া গেছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণিতে বরাদ্দকৃত বইয়ের পরিমাণ ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৮৩, ২য় শ্রেণিতে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০৮, ৩য় শ্রেণিতে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭১২, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৫০, পঞ্চম শ্রেণিতে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ২২টি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে সবগুলো বই শিক্ষা অফিসে এসে পৌঁছেছে। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বই শিক্ষার্থীদের হাতে তোলে দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। বরাদ্দের সম্পূর্ণ বই আমরা হাতে পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একযোগে নতুন বই দেওয়া হবে।