1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা সম্পর্কে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ (বিজ্ঞাপন)

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠালাভ করে অদ্যাবধি সুচারুরূপে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত ২২ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি. একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ২৪ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি. তারিখে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা দুর্নীতির আখড়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসায় এলাকার বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান বার্ষিক ওয়াজমাহফিলে মৌখিকভাবে জমিদান করে গেছেন। পরবর্তীতে সাব-রেজিস্ট্রি দলিলও দিয়েছেন। মাদ্রাসাটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও মাদ্রাসার অবস্থান ভিট এরিয়ায় মাদ্রাসার নামে কোন দলিল না থাকায় মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সরকারি কোন অনুদান দেওয়া যাচ্ছে না বলে পরিচালনা পর্ষদে অভিমত জানান। তখন মেরুয়াখলা গ্রামের ওমর আলী মেম্বার, মরহুম আব্দুল গফুর, পিতা: মৃত করদি শেখকে বাদী করে ১৯৮৭ সালে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রহমান সাহেব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালা মিয়া কন্ট্রাকটারের মাধ্যমে মাদ্রাসার ভিট এরিয়ায় ১৬০৯, ১৬১০, ১৬১১, ১৬১২ নম্বর দলিলে ২২/০৪/১৯৮৭ইং তারিখে সর্বমোট ১.২০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দিয়া প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মমিন আলী মড়ল মামলা নিষ্পত্তি করেন। সভাপতি মহোদয় আরো জমি দাবি করায় প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ১. আব্দুল কাদির, ২. আলী আহমদ, ৩. আব্দুস ছাত্তার মাঝাইর মৌজার ১৬০১ দাগে ১৬০২নং দলিলে ২২/০৪/১৯৮৭ খ্রি. ৬০ শতক জমি দান করেন। বাকি আনুমানিক ১৪.৮৪ একর সম্পত্তি এলাকার ৩২ জন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন। এলাকার বিভিন্ন দানশীল ও দানবীর ব্যক্তিদের দান পত্রিকার সংবাদে অস্বীকার করা হয়েছে। দানশীল ব্যক্তি ও স্বজনরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মাদ্রাসার নামে একাউন্ট রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিধান অনুযায়ী জমা খরচ হয়। ভর্তি ফি., রেজি. ফি, ফরম ফি, বোর্ড/বিশ্ববিদ্যারয়ের নির্ধারিত ফি, গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেওয়া হয়।
বিগত ১৮/০৩/২০১৪ খ্রি. শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক মিনিস্ট্রি অডিট হয়েছে। ০৫/০৩/২০১৫ খ্রি. তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার পরিদর্শন ও অডিট হয়েছে। এমনকি নিয়মিত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ মনিটরিং করে যাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব মতিউর রহমান সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
অত্র মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মমিন আলী মড়ল-এর ছেলে (ডা. মাহবুবুর রহমানের বাবা) আব্দুল হাকিম নামে শিক্ষকতা করেছেন। আবার তিনি আব্দুল হাসিম নামে মাদ্রাসার দাতা সদস্য হিসেবে থাকতেন। ক্যাশিয়ার নামক পদ সৃষ্টি করিয়া মাদ্রাসার আয়-ব্যয় তার হাতে জমা থাকতো। একই সাথে তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্বেও ছিলেন। বিষয়টি সাবেক সংসদ সদস্যের কর্ণপাত হলে তিনি তা তদন্ত করে আব্দুল হাকিম-এর বেতন বন্ধ ও তার ক্যাশিয়ার পদ বাতিল করে দেন।
পরবর্তীতে ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স অনুযায়ী খন্ডকালীন সময়ের জন্য সভাপতির পদে মনোনয়ন পান। নিয়মিত গভর্নিংবডি পুনঃগঠনের সময়কালীন সারদেশে জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল-ধর্মঘট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান থাকায় গভর্নিংবডির নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অর্ডিনেন্স এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী এডহক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার মহোদয় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে বিধি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
গভর্নিং বডি অনুমোদনের পর অত্র মাদ্রাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুনামগঞ্জ মাদ্রাসার সম্পত্তির হিসাব ও মাদ্রাসা এরিয়া পরিমাপের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই সময়কাল হইতে ডা. মাহবুবুর রহমান প্রতিষ্ঠাতার নাতি হিসাবে সভাপতি হওয়ার দাবি করছেন।
প্রাসঙ্গিকক্রমে উল্লেখ্য যে, বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুনামগঞ্জ ১৮/০৯/২০১৬ খ্রি. তারিখে গভর্নিংবডি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সভাপতি বিষয়ে সভার আয়োজন হয়। এতে (পিতা-পুত্র-চাচা) যথাক্রমে আব্দুল হাসিম, ডা. মাহবুবুর রহমান, আলী আহমদ সভাপতির প্রার্থী হন। আলোচনা পর্যালোচনার পর বিধি বিধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সভাপতি থাকার বিষয়টি প্রতিয়মান হয়।
উল্লেখ্য যে, বিগত কমিটির সভাপতি মহোদয়গণ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুণœ রাখার জন্য মমিন আলী মড়ল প্রজন্ম পরিষদের কিছু সংখ্যক সদস্য ও কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে ০২/০৮/২০১৫ইং ও ০৪/০৭/২০১৬ইং তারিখে রেজুলেশনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী সমলা খাতুন লিখিত আবেদনে এডিসি (সার্বিক) সুনামগঞ্জ মহোদয়কে সভাপতি থাকার অনুরোধ জানান। অপরদিকে ডা. মাহবুবুর রহমান সভাপতি হতে না পারায় মাদ্রাসা-প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের শুরু করেন। অবশেষে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকসহ এলাকার শিক্ষানুরাগী-গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দাতা ও দাতাদের স্বজনেরা প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
উল্লেখ্য; প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মমিন আলী মড়ল (ইনা মড়ল) ৫টি দলিলে সর্বমোট ১.৯৫ একর জমিদান করেছেন। বাকি ১৪.৮৪ একর জমি ৩২জন দাতা দান করেছেন।

স্বাক্ষরিত/-
মোঃ নজরুল ইসলাম
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com