অসীম সাহা::
বাংলা লোকগানের জগতে রাধারমণ এখন শুধু আর একটি নাম নয়, একটি কিংবদন্তি। একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। এরকম লোকশিল্পীর সংখ্যা বাংলা গানে নেহাৎ কম নয়। কিন্তু রাধারমণ দত্ত তার মধ্যে প্রধানতম ব্যতিক্রম এ জন্যে যে, তিনি শুধু শিল্পী নন, নতুন সঙ্গীত-ঘরানারও ¯্রষ্টা। বাংলাদেশ কিংবা পশ্চিমবাংলায় লোকগানের শিল্পীর সংখ্যা অগণ্য। তাদের অনেকের নাম আমরা জানি, অনেকের নাম কিছুটা জানি আর অনেকের নাম জানিই না। অথচ সমগ্র বাংলাদেশে অসংখ্য লোকগানের পূর্ণাঙ্গ ¯্রষ্টার অভাব নেই। লালন, হাছন, শাহ আবদুল করিম অনেক বেশি পরিচিত। সেই তুলনায় দূর্ব্বীণ শাহ, শীতালং শাহ, আরকুম শাহ প্রমুখের পরিচয় তুলনামূলকভাবে কম। বস্তুত যেখানেই বাঙালি আছে, সেখানেই লালন, হাছন, শাহ আবদুল করিমের গান গীত হয়ে থাকে। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে এই তিনজনের পাশাপাশি রাধারমণ এবং কবিয়াল বিজয় সরকারের নাম একইসঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। তার একটিই কারণ, বাংলা গানে এই দুই ¯্রষ্টার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। লালনের গানে বাউলতত্ত্বের যে সাধনা, সেটি হাছন রাজাতে তেমনভাবে নেই। সেজন্যে হাছন রাজাকে কেউ বাউল বলে আখ্যায়িত করেন না। আবার হাছন রাজা কিংবা শাহ আবদুল করিমের গানে সাধারণ লোককথার বাইরেও কখনো কখনো হয়তো আধ্যাত্মিকতার আভাস খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু বাউলের যে গূঢ়তত্ত্বের সাধনা, তা এদের গানে অনুপস্থিত। কবিয়াল বিজয় সরকারের গানের ক্ষেত্রে তার জীবনদর্শন প্রতিফলিত, যেখানে জীবন ও মৃত্যুর সীমানার মধ্যে দূরত্বের ব্যবধান যে কণামাত্র, তা সহজ ও সরল ভাষায় কিন্তু জটিল সুরের ব্যঞ্জনায় এবং রাগের অভাবিতপূর্ব কৌশলে অত্যন্ত মর্ম¯পর্শী করে তোলার দক্ষতা অন্য কোনো ¯্রষ্টার সৃষ্টিতে খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না।
রাধারমণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের কথা বলা যেতে পারে। তিনি বাংলা লোকগানে অভিনব ধারার ¯্রষ্টা। তার সৃষ্ট ‘ধামাইল’ গান সিলেট, শিলিগুড়ি ও আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে এতোটাই জনপ্রিয় যে, তা বলতে গেলে ঘরে ঘরে গীত হয়ে থাকে। এই গানের বৈশিষ্ট্য, এটা সাঁওতালী কিংবা ঝুমুর গানের ঢংয়ে দল বেঁধে নারীরা সামনে ঝুঁকে নেচে নেচে হাতে তালি দিয়ে পুজোর সময় গেয়ে থাকে। দ্রুত অথবা ধীর লয়ের সাঁওতালী কিংবা ঝুমুর গানের সুরের সঙ্গে এর সাযুজ্য প্রায় হুবহু। সিলেট অঞ্চলে এটি এতোটাই জনপ্রিয় যে, এই গানের ধারা আর এখন পুজোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন যে কোনো বিষয়ই ধামাইল গানের সুরকে অবলম্বন করে গীত হয়ে থাকে।
রাধারমণ পারিবারিকসূত্রে সঙ্গীতের উত্তরাধিকার পেয়েছিলেন। তার পিতা রাধামাধব দত্ত ছিলেন সংস্কৃতিবান, সঙ্গীতজ্ঞ এবং খ্যাতিমান কবি। তিনি জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্য অনুবাদ করে সে-সময়ে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার রচিত ‘ভ্রমরগীতিকা’, ‘ভারতসাবিত্রী’, ‘সূর্যব্রত পাঁচালি’, ‘পদ্মপুরাণ’ এবং ‘কৃষ্ণলীলা গীতিকাব্য’ তৎকালীন সময়ে খ্যাতির শীর্ষচূড়া ¯পর্শ করেছিলো। সেই প্রতিভার বিকশিত সৌন্দর্য রাধারমণের সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ করা যায়। শৈশব থেকেই রাধারমণ ধর্মীয় অনুভূতিতে সিক্ত হয়ে তার অন্তর্চেতনায় সহজিয়া বৈষ্ণবীয় ভাবধারাকে আত্তীকৃত করে যে সাধনায় সিদ্ধিলাভের প্রয়াস চালিয়েছিলেন, মৃত্যুর পূর্বপর্যন্তও তার জীবনে সেই ধারা অব্যাহত ছিলো।
আপাতদৃষ্টিতে রাধারমণের যে সকল গানকে আমাদের অতি সহজ ও সরল বলে মনে হয়, তার মধ্যেও বৈষ্ণবীয় সহজিয়া দর্শনের ছোঁয়া দৃষ্টি ও মনের অগোচর থাকে না। যেহেতু রাধারমণ বৈষ্ণব ভাবধারার সাধক ছিলেন, তাই তার গানে বৈষ্ণব পদাবলীর মুখ্য বিষয় যে প্রেম, রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়লীলার মধ্যে প্রধানত তা সীমাবদ্ধ থাকলেও তার অন্তর্গত পদাবলীর ব্যঞ্জনা আমাদের হৃদয়কে ¯পর্শ করে। বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য বড়– চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর বিষয়ও রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও কামলীলার এক অসামান্য অন্তর্গত প্রকাশ যে কোনো ভক্ত-অনুরক্ত ছাড়াও সাধারণ পাঠককেও আপ্লুত করে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে প্রণয়লীলার চেয়েও কামলীলার প্রাধান্য অনেক বেশি থাকায় রাধারমণ প্রণয়কে তার গানে অভিষিক্ত করেছেন, কামকে নয়। তবে রাধারমণের গানে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়লীলার পদসমূহে বিরহ-ব্যাকুলতার যে প্রাধান্য, তার সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলীর বিরহ-ব্যাকুলতার সাদৃশ্য যে রাধারমণের বৈষ্ণবীয় ভাবনারই অন্তর্নিহিত প্রকাশ, সেটা এই পদাবলীসমূহে ¯পষ্ট হয়ে ওঠে :
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে, গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কাঁদে প্রতি অঙ্গ মোর।
হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে।
পরান পিরিতি লাগি থির নাহি বান্ধে।
[জ্ঞানদাস]
কিংবা
লাখ লাখ যুগ হিয় হিয় রাখলুঁ
তবু হিয় জুড়ন না গেল।
[বিদ্যাপতি]
এই পদবলীতে হৃদয় বিদীর্ণ করা আকুল অনুভূতি যে মর্মছোঁয়া বাণীতে সিক্ত হয়েছে, রাধারমণের নি¤œবর্ণিত বাণীতেও কি আমরা সেই একই সুরের অনুরণন শুনতে পাই না?
কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া।
অন্তরে তুষের অনল জ্বলে গইয়া গইয়া ॥
কিংবা
তুমি কার লাগিয়া গাঁথরে ফুলের মালা।
নিশিরাতে কুঞ্জবনে আসবে কি শ্যামকালা
রাধারমণ শৈশব থেকেই বৈষ্ণব সহজিয়া পন্থার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। পরবর্তী জীবনেও প্রধানত কৃষ্ণ-অনুরাগ ছিলো তার জীবনের প্রধান অবলম্বন। ধর্মের প্রতি তার গভীর আবেগ এবং তার রচিত অধিকাংশ গানে কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো পরোক্ষভাবে তাই কৃষ্ণের প্রতি আত্মনিবেদন এবং রাধার জন্যে কৃষ্ণের ও কৃষ্ণের জন্যে রাধার আকুলতার ঘনীভূত প্রকাশ দেখতে পাই।
বাউলসাধক যারা, তারা মূলত সংসার-বিরাগী এবং গুরু-শিষ্য পর¤পরা বাউলতত্ত্বের একটি মৌলিক শর্ত। রাধারমণ বাউল ছিলেন না। কিন্তু তার চারিত্রবৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে বৈচিত্র্য ছিলো, তাতে দেখা যায় একই সঙ্গে তিনি সংসারধর্ম পালন করেও হিন্দুধর্মীয় চুতরাশ্রম, ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ এবং সন্ন্যাসব্রত একই সঙ্গে পালন করেছেন। সন্ন্যাসব্রত পালন করার জন্য সংসার-বিরাগী হতে হয়। তিনি তা হয়েছিলেনও। তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের অকালমৃত্যুতে জীবনের প্রতি এক ধরনের বৈরাগ্য তৈরি হয়। ফলে তিনি গৃহত্যাগ করে ১২৯০ বঙ্গাব্দে মৌলভীবাজার জেলার ঢেউপাশা গ্রামের রঘুনাথ ভট্টাচার্যের আশ্রমে চলে আসেন এবং তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে এক ধরনের সন্ন্যাসজীবনযাপন করেন।
এই সময়ে তার মনে নানামুখী ভাবের উদয় হয় এবং তিনি বিভিন্ন ধরনের গানে নিজেকে সমর্পণ করেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের অনুভূতির কথা মনে রেখে তিনি যেমন তাদের জন্যে অতিসাধারণ কথায় গান রচনা করেন, তেমনি জীবাত্মার সঙ্গে পরামাত্মার মিলনসাধনার দেহতত্ত্বমূলক গানও রচনা করেন। আাবিষ্কার করেন নতুন ঘরানার গান ‘ধামাইল’।
এটা সত্যি বিস্ময়কর যে, একজন লোকশিল্পী শুধু গান রচনার মধ্যেই নিজের জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। জীবন ও জগৎ স¤পর্কে তার মনে বিভিন্ন সময় যে সব প্রশ্নের উদয় হয়েছে, তারও উত্তর খুঁজতেও তিনি মগ্ন সাধনায় নিজেকে ধ্যানস্থ রেখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এই জীবনজিজ্ঞাসা থেকে তার মনে একেশ্বরবাদী ধারণার উদ্ভব হয়। কিন্তু তার জীবনাচরণ এই ব্যাপারে কোনো ¯পষ্ট ধারণা দেয় না। যদি সেটাই হতো, তা হলে তিনি একইসঙ্গে শৈব, বৈষ্ণব কিংবা বাউলিয়ানার প্রতি নিবিড় অনুরাগে নিজেকে অভিষিক্ত করতেন না।
বৈষ্ণব মতানুসারীরা জ্ঞান, কর্ম ও প্রেম- এই তিনটি দর্শনকে মানবসত্তার প্রধান প্রপঞ্চ হিসেবে ধরে নিয়ে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করেন। শুধু কর্মের মাধ্যমে ঈশ্বর বা পরম সত্তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায় না। জ্ঞানের ক্ষেত্রেও মানুষের সীমাবদ্ধতার কারণে তা ঈশ্বরপ্রাপ্তি কিংবা পরমেশ্বরের সন্ধান লাভের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একমাত্র-
“জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”
এটাই বৈষ্ণব ধর্মের মূল ভিত্তি। বৈষ্ণবীয় ধারণায় প্রেমই হচ্ছে মূল কথা। কারণ বৈষ্ণব-অনুসারীরা মনে করেন, প্রেমভক্তিই পরম ঈশ্বরের অনুসন্ধান এবং তাঁকে পাওয়ার একমাত্র পথ। মূলত ঋগে¦দ থেকে উৎসারিত বৈষ্ণব দর্শন রামানুজের মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করলেও প্রকৃতপক্ষে শ্রীচৈতন্য বাংলায় বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের মাধ্যমে মানবসত্তার জাগরণের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব সাধন করেন। এখন পর্যন্ত হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী বৈষ্ণবধর্মের অনুসারীরা মূলত শ্রীচৈতন্যদেব প্লাবিত ভক্তিরসে সিক্ত হয়ে জীবনসাধনায় নিজেদের উৎসর্গ করে চলেছেন। রাধারমণও সেই ধারার অনুসারী হিসেবে ভাব ও ভক্তিরসের অজ¯্র গান রচনা করেছেন। সেই সব গানে ভক্তির আবেশে মানবজীবন গভীর অনুরাগে সিক্ত হয়েছে।
কিন্তু রাধারমণের যে সব গান লোকসমাজে গভীর দ্যোতনা তৈরি করেছে এবং লোকমুখে প্রচলিত হয়েছে, তার বেশির ভাগই রাধা-কৃষ্ণের প্রণয় কিংবা বিচ্ছেদসংক্রান্ত। এইসব গানের মধ্যে ‘কুঞ্জ সাজাও গো/আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে’, ‘শ্যামকালিয়া সোনাবন্ধু রে’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া/শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে’, ‘আমার বন্ধু দয়াময়’, ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো’, ‘আমার গলার হার’, ‘বিনোদিনী গো তোর’, ‘দেহতরী ছাইড়া দিলাম’ প্রভৃতি এখন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অসামান্য জনপ্রিয়তা নিয়ে লোকের মনে গভীর আবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে।
‘দেহতরী ছাইড়া দিলাম’-এর মতো ভাবসঙ্গীতে দেহতত্ত্বের যে গভীর রহস্যময়তা, তার অনুসন্ধানে তিনি যে তরী ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন, প্রধানত লালনের গানে এই অনুসন্ধান তীব্রতা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে রাধারমণ জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছিলেন ভাবের সাগরে। তাই তার জীবন হয়ে উঠেছিলো আশ্রমভিত্তিক। তিনি কখনো কাগজ-কলম নিয়ে গান রচনা করেননি। তিনি মুখে মুখেই গান রচনা করতেন আর আশ্রমকেন্দ্রিক ভাবশিষ্যরা তা মুখস্ত করে বিভিন্ন স্থানে গেয়ে বেড়াতেন। এইভাবে তার গানদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আজও গীত হয়ে চলেছে। রাধারমণ তিন হাজারেরও অধিক গান রচনা করেন। সুরের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বলা যায়, তিনি গানের কথা অনুযায়ী নিজস্ব ঘরানা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তা যেমন ভাবসঙ্গীতে, তেমনি রাধা-কৃষ্ণ প্রণয়লীলা এবং তার সৃষ্ট ‘ধামাইল’ গানেও।
গানের কথার সঙ্গে সুরের সমন্বয় সাধন করা সকল পদকর্তার পক্ষে সম্ভব হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক পদকর্তার সঙ্গে আরেক পদকর্তার সুরের বিভাজন অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অথচ রাধারমণ বলতে গেলে প্রচলিত লোকসুরকে সমন্বিত করে প্রধানত করুণ রসকে প্রাধান্য দিয়ে প্রেমের গানে তা সঞ্চারিত করেছেন। আবার ভাবসঙ্গীতে ভক্তিরসের প্রাধান্যও গানের কথাকে গভীর আবেশে সিক্ত করেছে।
রাধারমণ দত্ত ৮২ বছর বয়সে ১৩২২ বঙ্গাব্দের ২৬ কার্তিক (১৯১৫ খ্রি.) পরলোক গমন করেন। হিন্দুরীতি অনুযায়ী তাঁকে দাহ না করে বৈষ্ণব মতবাদ অনুযায়ী সমাহিত করা হয়।
বস্তুত রাধারমণ বাংলা গানের এমন এক দিগন্তছোঁয়া কান্ডারি, যার গান এখন শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় সঙ্গীত-ঘরানার আসরে ঠাঁই করে নিতে সক্ষম হয়েছে। একজন লোকশিল্পী ও ভাবশিল্পীর জন্য এরচেয়ে বড়ো গৌরবের কথা আর কিছুই হতে পারে না।
[লেখক : কবি]