1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বহিষ্কারের পরোয়া করছে না বিএনপি নেতাকর্মীরা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে জেলা বিএনপি। নির্বাচনের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে তাতে। কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেন কিংবা কারও পক্ষে কাজ না করেন। এমন সতর্কবার্তার পরও নেতাকর্মীরা পরোয়া করছেন না। অনেকে অব্যাহতি নিয়ে নির্বাচন করতে চান।
বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রথম ধাপের যে ১৫০ উপজেলায় আগামী ৮ মে নির্বাচন হবে, তাতে অর্ধশতাধিক উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ও বর্তমান নেতাদের কেউ কেউ।
নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিরতি যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি নেই। এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অলস বসে কী করবেন? আর উপজেলা নির্বাচন করলে নেতাকর্মীরা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। জাতীয় রাজনীতি ও স্থানীয় রাজনীতির মধ্যে তফাত আছে। বাস্তবতা ভিন্ন। স্থানীয় কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীদের কথা রক্ষা করতে হলেও নির্বাচন করতে হয়। আর নির্বাচন না করলে মাঠ থেকে হারিয়ে যেতে হয়।
দুই মাস ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান লস্কর তপু। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এলাকার এক দোকানে বসে সবাই চা খায়। এরমধ্যে বেশির ভাগই থাকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। আমরা বিএনপি করি বলে দোকানপাটে বসে আড্ডাও দিতে পারি না। এলাকায় চলতে ফিরতেও কষ্ট হয় আমাদের নেতাকর্মীদের। এসব বিষয় কেন্দ্রকে উপলব্ধি করতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিলে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে। লড়াই করার মতো হিম্মত বাড়বে। আমি ভালোর জন্যই ভোট করব।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, নির্বাচন বয়কট করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৃণমূলের মানুষের মনোভাব বুঝেই আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ স¤পাদক আল মামুন বলেন, আমি দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান। এবার চেয়ারম্যান নির্বাচন করব। দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিলেও ভোটের মাঠ ছাড়ব না। কারণ স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনগণের চাহিদা। তারা আমাকে ভোটে দাঁড়াতে বলছেন। আর স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় না। জনগণ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তারা উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস বলেন, আমি আগে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তাই আমার আত্মবিশ্বাস। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপের কারণে আমি নির্বাচন করছি। এখন বাকিটা দেখা যাক কী হয়। ভোটে নেতাকর্মীরা তার পাশে থাকবেন বলে মনে করছেন তিনি।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন। ইতিমধ্যে এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন। তিনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে থাকতে চাই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা তিনি এখনও পাননি। দল চিঠি দেওয়ার পরই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, আমাদের জেলায় হয়তো কেউ দাঁড়াবে না। আমি সবাইকে কেন্দ্রের বার্তা জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও নির্বাচন করলে সোজা বহিষ্কার। আমি মনে করি, এই সরকারের অধীনে ভোট করে জয়ী হওয়া অসম্ভব। হয়তো কয়েকজন বের হয়ে আসতে পারবেন; যারা এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। আর বাকিদের জয়ের স্বপ্ন গুড়ে বালি।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের উপজেলা ভোট থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। বেশির ভাগই নির্বাচন থেকে সরে আসবেন। কিছু মাঠে থাকবেন। তাদের বহিষ্কার করব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com