1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত

  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
২০২২ সালে রুশ বাহিনী সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির শত শত ব্যবসা গড়ে উঠেছে। তবে নগদ অর্থের ঘাটতি ও রুশ হামলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত। এই খাতে ব্যবসায় নেমে উৎপাদনের জন্য অর্থায়নের যোগান নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। একইসঙ্গে দেশটিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা বাড়ায় ব্যবসায়ীদের মনে তাদের ব্যবসা লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ভয় দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিকরা জানিয়েছেন, এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যবসা ঠিকিয়ে রাখার তাগিদে নিজ পকেট থেকে টাকা ঢালছেন তারা। এমনকি রুশ গোয়েন্দাদের নজর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতেও পকেট কাটা যাচ্ছে তাদের। এমতাবস্থায় সরকারকে এখন অস্ত্র ক্রয় স¤পর্কিত সব কঠোরতা কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা।
এসব মালিকদের অনেকেরই অভিযোগ, সরকার তাদের উৎপাদিত সব পণ্য কিনতে অক্ষম। তাই অস্ত্র রফতানির অনুমতি চাইছেন তারা।
ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্পমন্ত্রী অলেক্সান্ডার কামিশিনের মতে, দেশটির সামরিক শিল্পে বর্তমানে বার্ষিক ১৮-২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সরঞ্জাম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি সাক্ষাতকারে মন্ত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, নগদ অর্থের সংকটে থাকা ইউক্রেনীয় সরকার উৎপাদিত এই সামরিক পণ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থায়ন করতে সক্ষম।
যুদ্ধ চলাকালীন মিত্রদের কাছ থেকে ১২ হাজার কোটি মূল্যের সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। এই সহযোগিতার বেশিরভাগই নিগদ অর্থ নয়, বরং সামরিক সরঞ্জাম ছিল।
কামিশিন বলেছিলেন, একটি প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় লড়াইটি করছি আমরা। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি লক্ষ্য করেন, ন্যাটো-ক্যালিবার আর্টিলারি শেলগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউর উৎপাদন ক্ষমতা আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় কম।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেনের অনেক বড় বড় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। যুদ্ধ বাধার ফলে দেশটিতে এখন বেসরকারি খাতে অস্ত্র উৎপাদনের সূত্রপাত হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলার পর থেকে দেশটিতে প্রতিরক্ষা খাতে নির্মাতাদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০০ থেকে ১০০টিই এখন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন।
নগদ অর্থের এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশি অংশীদারদের কাছে প্রতিরক্ষা খাতে উতপাদনের জন্য তহবিল চেয়েছে ইউক্রেন। দেশটির এমন আহ্বানে প্রথম সাড়া দিয়েছে ডেনমার্ক। মঙ্গলবার ইউক্রেনকে ২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com