1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কেন ৪৪ দিন ধরে চলবে ভারতের নির্বাচন

  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ভারতে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ১৯ এপ্রিলে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। মোট ৯৭ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই নির্বাচনে। সংখ্যার বিচারে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি। ৪৪ দিন ধরে চলা এই নির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে ৪ জুন। পৃথিবীতে এত বিশাল আয়োজন দ্বিতীয়টি আর নেই।
ভারতের নির্বাচনে কেন এত সময় লাগে- এর মূল কারণ মূলত দুটি। প্রথমত, ভারতের বিশাল আকার এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দ্বিতীয়ত, বিস্ময়কর হলেও এই বিপুল ভোটার সংখ্যার প্রত্যেকে যাতে তাদের ভোট দিতে সক্ষম হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫১-৫২ সালে ভারতের প্রথম নির্বাচনে ভোট স¤পন্ন করতে প্রায় চার মাস সময় লেগেছিল। আবার ১৯৮০ সালে সময় লেগেছিল মাত্র চার দিন। ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচন স¤পন্ন করতে সময় লেগেছিল ৩৯ দিন যা এযাতকালে ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নির্বাচন ছিল।
ভারতের মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৯৬৯ মিলিয়ন যা সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। মোট ৫৪৩ জন বিধায়ককে বেছে নেওয়ার জন্য সাত ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি ফেডারেল অঞ্চলে আলাদা আলাদা পর্বে ভোট হবে। প্রতিটি পর্ব এক দিনের, প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল এবং সর্বশেষ পর্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন।
কিছু কিছু রাজ্য একদিনে তাদের ভোটগ্রহণ স¤পন্ন করবে। তবে কোথাও ভোট দিতে কয়েক দিনও সময় লাগতে পারে। ২০ কোটি জনসংখ্যার উত্তর প্রদেশ ভারতের বৃহত্তম রাজ্য। শুধু এই একটি প্রদেশের লোকসংখ্যা মোটামুটি ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার আকারের সমান। ৭ দিন ধরে ভোটগ্রহণ হবে এই প্রদেশে। ভোটের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ভারতের নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে, প্রত্যেক ভোটারের বাড়ির ২ কিলোমিটারের মধ্যে একটি ভোট গ্রহণের বুথ রয়েছে।
এমনকি কোনো এলাকার একজন ভোটারও যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এজন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনেক দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ভ্রমণ করতে হবে। এমনটিই বলছেন, ভারতের নির্বাচনবিষয়ক গবেষক চাক্ষু রায়।
নির্বাচনী কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মী মিলিয়ে এই নির্বাচনের কাজ করবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। তারা দেশের মরুভূমি এবং পর্বতমালা অতিক্রম করে প্রত্যেকটি গ্রাম এবং বসতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। কখনো কখনো নৌকায় চড়ে এমনকি হেঁটে তারা প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য এটা বেশ কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং কাজ।
২০১৯ সালে যখন ভারতে শেষবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তখন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি দল চার দিনে ৪৮০ কিলোমিটার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। তারা চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছিলেন যাতে সেখানকার বাসিন্দারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এই দীর্ঘ পথের বেশিরভাগই তাদের অতিক্রম করতে হয়েছিল হেঁটে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি দল ২০১৯ সালের নির্বাচনে হিমালয়ের ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উঁচুতে অবস্থিত একটি গ্রামে পৌঁছেছিলেন। এটি বিশ্বের কোথাও সর্বোচ্চ অবস্থানে স্থাপন করা ভোটকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
এবারও প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও স্থাপন করা হবে ভোটকেন্দ্র। যার মধ্যে একটি দক্ষিণ কেরালা রাজ্যের একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ভিতরে এবং আরেকটি পশ্চিম গুজরাট রাজ্যের একটি শিপিং কনটেইনারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে বহু-পর্যায়ের নির্বাচনের পেছনে একটি মূল কারণ হলো নিরাপত্তা।
হাজার হাজার ফেডারেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, যারা সাধারণত সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত থাকেন তারাও নির্বাচনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সহিংসতা প্রতিরোধ করতে এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ভোটিং মেশিন পরিবহনের জন্য রাজ্য পুলিশের সাথে তাদের মোতায়েন করা হবে।
ভারত! নদী, পাহাড়, বরফ, জঙ্গল কি নেই এই দেশে। নিরাপত্তা বাহিনীকে ভোটের সরঞ্জাম এই দেশের আনাচে কানাচে পৌঁছতে হবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, আমরা প্রত্যেকটা এলাকায় পৌঁছতে চেষ্টা করব যাতে ভোটারদের কষ্ট করতে না হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com