1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

৩ হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ বন্ধ করো

  • আপডেট সময় সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের ১৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগের প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে মানববন্ধন হয়েছে। সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে ওই সড়কের টুকেরবাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা সড়কের কোনো গাছ না কাটার দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কেবল সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সবুজ সড়কের গাছগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্থানীয় উপকারভোগীদের সরকার থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। তবুও গাছ কাটা যাবে না।
মানববন্ধনে সুনামগঞ্জে প্রবীণ শিক্ষক ও রাজনীতিক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় বক্তব্যে গাছ লাগানোর কথা বলেন। আর এরা (বনবিভাগ) হাজার হাজার গাছ কাটতে ফন্দি করছে। হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশ এমনিতেই নানা কারণে সংকটে। তার ওপর এত এত গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ওপর একটা ক্ষতিকর প্রভাব তো পড়বেই। পাখি, কীটপতঙ্গ আশ্রয় হারাবে।
জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ স¤পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, টিআইবির সুনামগঞ্জ সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক স¤পাদক আইনজীবী মাহবুবুল হাসান শাহিন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ ফুজায়েল কিবরিয়া প্রমুখ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-সাচনা (জামালগঞ্জ) সড়কে এসব গাছ ২০ বছর আগে লাগানো হয়েছিল। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই গাছ রোপন করা হয়। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসব গাছ কাটতে বনবিভাগ দরপত্র আহবান করেছেন। এ জন্য প্রতিটি গাছের গা ছুলিয়ে লাল কালিতে দেওয়া হয়েছে নম্বর। বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ অনুযায়ী গাছ বিক্রির টাকা উপকারভোগী ৫৫ ভাগ, বন অধিদপ্তর ১০ভাগ, ভূমির মালিক হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০ভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ৫ ভাগ পাবে। বাকি ১০ভাগ টাকা রাখা হবে আবার বনায়নের জন্য।
তবে স্থানীয়রা জানান, গাছগুলো গণনার জন্য নম্বর দেওয়া হয়েছে। কাটার কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক সড়কে এত গাছ কাটার বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক। অথচ সড়কটি তাদের আওতাধীন।
রেঞ্জ ও বন বিভাগের কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, সড়কের গাছ কর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বনবিভাগের সুনামগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই সড়কসহ বেশ কিছু জায়গার গাছ কাটার বিষয়ে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিভাগীয় কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৩ এপ্রিল দরপত্র সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে খোলা হবে। তবে গাছ কাটার বন্ধের দাবির বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নজরে এসেছে। এখন আলোচনা সাপেক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com