1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বিশ্বজগতকে জানার কথা : এনামুল কবির

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিজ্ঞানের সূচনা কবে সেটা এখন এর ইতিহাসই ভালো বলতে পারে। তাই আপাত সেদিকে যাচ্ছি না। তবে এখানে বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের এক সান্ধ্যমুহূর্তের কথা বলি। জেলা শহর সুনামগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে আমরা এমন কত বিষয় নিয়ে না বসি, তর্ক বলি বা বিতর্কে কাটিয়ে দেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা, রাত নয়-দশটা পর্যন্ত। এবার অবশ্য বিষয় আর সাহিত্য নয়, গল্প বা প্রবন্ধও নয়, কবিতা তো নয়’ই; খোদ সেটা হলো আমাদের এই বিশ্বজগত।
এর আগে এরকম একটা বিষয় নিয়ে বসা ছিল আমাদের পূর্বধারণার বাইরে, তবুও আমরা সেদিন সেটা করেছিলাম। এর যোগসূত্রের দায়িত্ব ছিল লেখক সুখেন্দু সেনের, এরকম এক আলাপের খবর তিনি আমাদের ইনবক্স করে পাঠান। নিমন্ত্রণের এখন এটা এক ডিজিটাল তরিকা বটে। আমি মফস্বলের মানুষ, তাঁকে জানাই, আমরা আসবো এবং এটা যতটা সম্ভব মিস করছি না। বলতে গেলে বিষয়ের প্রেরণায় আমি বেশ আগ্রাহান্বিত হয়ে উঠেছিলাম। এটা ২ অক্টোবর, ২০২৩ এর কথা। আমরা একে একে পাঠাগারের দু-তলায় এসে জড়ো হতে থাকি। বিজ্ঞানের আলোচনা, অতএব সেটা রসকষহীন হবে- এই ছিল আমাদের প্রথাগত ধারণা। এখানে এসব ছাড়িয়ে দেখি- জমায়েত মন্দ নয়। এর মধ্যে অনেকে এসে পড়েছেন। বক্তাকে এর মধ্যে চেনা হয়ে গিয়েছিল, যে দু-দিন আগে এই পাবলিক লাইব্রেরির এজিএম হয়ে গেল, সেদিন তিনি এখানেও ছিলেন। দু-একটা কথা যা বলেছিলেন, তাতে সবার মনোযোগ ভালোভাবে কেড়ে নিয়েছিলেন। বয়স হয়ে গেলেও আনন্দ আর কর্মশক্তিতে তাঁর স্ফূরণ তখনও টের পাচ্ছিলাম আমরা। তিনি হলেন- পূর্ণেন্দুকান্তি দাশ, আজকের আলোচক- এই সান্ধ্যমুহূর্তের একক বক্তা। একসময় শিক্ষক ছিলেন তিনি, ছিলেন রসায়নের অধ্যাপক; সেটা ‘মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ’, আগরতলা, ভারতে। এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন, কিন্তু তিনি যে ফুরিয়ে যাননি, রয়ে গেছেন এখনও বেশ সমর্থ্য গত দুদিনে আমরা সেটা টের পেয়েছি।
এখানে এসে এটাও মনে হলো যে, একজন শিক্ষক আসলে অবসর নেন না; বিদ্যায়তনিক পর্বটা হয়তো তাঁর শেষ হয় একটা সময়। কিন্তু লক্ষণীয় হলো তাঁর মধ্যে তখনও দেখার মতো প্রজ্ঞার দ্যুতি থেকে যায়। সন্ধ্যা ৭টায় দিকে যখন পূর্ণেন্দু তাঁর বয়ানটা শুরু করেন, তখন তাঁর মধ্যে আমরা সেই দ্যুতিটা দেখতে পাই। একজন জাত শিক্ষকের সংজ্ঞাটা মনে হয় সবসময় এরকম হয়। দুর্ভাগ্য, এই সময়টাতে যখন তাঁদের মতো প্রজ্ঞাবানদের বেশি দেবার কথা, তখন আমরা কি-না তাঁদের অবসরে পাঠাই এবং দেবার সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করি। অবশ্য এরকম সভা-সমাবেশ এর কিছুটা ক্ষতিপূরণ করে না বা করতে পারে না তা নয়। আমরা তখন দেখি শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রজ্ঞা কেমন সরাসরি সমাজমনে গিয়ে উপনীত হয়। এদিক থেকে এই সান্ধ্য মুহূতের্র তাৎপর্য নিশ্চয়ই স্বীকার্য। পূর্ণেন্দু বাবু শুরু করেছিলেন নাটকীয়ভাবে, এখন মনে হয় এতে আমাদের তাৎক্ষণিক লাভ হয়েছিল অনেকটা। আমরা তখন দ্রুত তাঁর বয়ান বা আলোচনায় ডুবে যেতে পেরেছিলাম। বলা যায় মনোসংযোগ তৈরি করে নিতে এটা ছিল তাঁর নিজস্ব একটা টেকনিক বা পদ্ধতি।
এবার তিনি যখন বললেন, চোখ খুলুন এবং জানতে চাইলেন আমরা কী দেখলাম, বলতে গেলে ‘কিছুই না’ এর মধ্যে ছিল আমাদের উত্তর। এখানে তিনি আমাদের ইন্দ্রিয়ের কী ভূমিকা বা কীভাবে এটা কাজ করে জানালেন। তারপর এই সচেতনতা থেকে শুরু হয় আমাদের জ্ঞানচর্চার সমূহ ধাপ, সংক্ষেপে বলে গেলেন সেটাও। খেয়াল করলাম, এর মধ্যে ১০ মিনিট হয়ে গেছে। এবার তিনি তাঁর মূল বক্তব্যে প্রবেশ করলেন, ‘চলুন বিশ্বব্রহ্মা- সম্পর্কে জানি’। সেদিন মূলত এটা ছিল তাঁর বক্তব্যের শিরোনাম। এখানে আমাদের এই জানাশোনার সুযোগ বা পরিসরে যে তিনি বেশি সময় নিয়েছিলেন এমন নয়, অন্যূন ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে নিয়েছিলেন। সবটা মিলে প্রায় ৪০ মিনিটের মতো বলেছিলেন তিনি। এখানে এর সবটা হলো নভোঃম-ল- নক্ষত্রের কথা, আমরা শুনতে পেলাম সূর্য ও তার গ্রহাদির পরিচয়। এটা তো আমাদের সৌরজগত। এর উৎপত্তির কথা তখন এসেছিল, গ্রহাণুপুঞ্জ ও মহাজাগতিক বিস্ময় সম্পর্কে তাঁর বলার ধরণ ছিল বিস্ময়কর। এখানে বাদ যায়নি পৃথিবীর দিবারাত্রি প্রসঙ্গ। সবশেষে গ্যালাক্সির কথা হলো অনেকটা, বললেন নক্ষত্র কীভাবে এই গ্যালক্সির সাথে সংগঠিত হয়। আমাদের সূর্য আছে এর অংশ হয়ে, ছায়াপথ গ্যালাক্সির সে অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে নক্ষত্র অগণন কোটি তো বটেই, নীহারিকাও অজ¯্র- এমন। বিশ্বটা কোথায়- ক্রমপ্রসারমান, এবার এখানে সে কথাটাও বললেন শ্রদ্ধেয় পূর্ণেন্দু বাবু।
এর মধ্যে যা বলার শেষ করে নিয়েছিলেন তিনি; আমরা এরপর যাই একটা প্রশ্ন-উত্তরপর্বে। অবশ্য তখন খেয়াল করলাম, এখানে তিনি বেশ সতর্ক এবং যা বলেছেন এর বাইরে যেতে ইচ্ছুক নন। এরকম একটা কথা একফাঁকে বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রোতা হিসেবে আমরা সেটা মানবে কেন? আমাদের কাছে বিজ্ঞান কেবল জানার বা সৌখিন চর্চার বিষয় ছিল না। এর পুরোটা যত প্রশ্ননির্ভর হোক, সেটা অবশ্যই জীবন ঘনিষ্ঠ ও ব্যবহারিক এবং শেষপর্যন্ত এর দর্শন- দৃষ্টিভঙ্গির প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ বলতে হয়। তাই এদিক থেকে মনে হলো তাঁকে প্রশ্ন করা যায়, আমাদের সমাজমনে যে বিজ্ঞান নেই, জীবনদৃষ্টিতে আমরা দেখি এর অনুপস্থিতি, সেটা আমরা কী করে দূর করতে পারি? তিনি তখন এর উত্তর দেননি, শুধু তাই নয়, উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন। আমরা যেখানে বিজ্ঞানের সাথে বা এর চর্চায় সমাজের সাথে বা শ্রমে প্রয়োগে একটা বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছি, সেটা মনে হলো তাঁর দৃষ্টিসীমার বাইরে, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মনে পড়ছে কবি ইকবাল কাগজীও তখন কিছু একটা জানতে চেয়েছিলেন। এখানেও লক্ষণীয়ভাবে পূর্ণেন্দু’র উত্তর ছিল মৌনব্রত। বলতে গেলে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হই। এটা ছিল অবশ্য আমাদের দিকের ব্যাপার। এর মধ্যে আরও দু-তিনটা প্রশ্ন এলেও সেদিন তাঁর কথা ছিল মূলত এতোটুকু। তাহলে যে ‘বিশ্বব্রহ্মা- সম্পর্কে’ আমরা এখানে জানতে এসেছিলাম এবং সেটা তিনি বেশ ভালোই বলেছিলেন, এর তাৎপর্য কোথায়- আমরা জানতে চাইবো না? বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞান, এটা শখের তুলা আশি টাকা- কাব্য বা শিল্পকলার ব্যাপার নয়। এখানে বিজ্ঞান সম্পর্কে জে. ডি. বার্নাল এর অনুধাবন হলো, ‘মানুষ ও বিশ্বজগত সম্বন্ধে বিশ্বাস ও মনোভাব নির্ধারণের অন্যতম প্রধান উৎস।’ এর অর্থ হলো মানুষের চিন্তায় বিজ্ঞানের প্রভাব আমরা লক্ষ না করে পারি না। তাই আমাদের সেই চেষ্টা করা বাঞ্ছনীয় মনে করি। এতে ইতিহাসে এর ভূমিকা কতটা নির্ধারক সেটা জানতে পারবো, বাস্তব জীবনে দেখতে পাবো এর ব্যবহারিক রূপ বা সম্বন্ধটা।
এখানে আমার ও কবি ইকবাল কাগজী’র প্রশ্নটা ছিল সে দায় থেকে করা। বলা বাহুল্য সেটা ছিল একটা দৃষ্টিভঙ্গি প্রসূত, বিজ্ঞানকে শখের জায়গা থেকে মুক্ত করে সমাজসত্তার দিক থেকে এর উপস্থাপন। আমাদের কথা ছিল বিজ্ঞান কেবল খাঁটি বিজ্ঞান হয়ে নেই, এটা বিশুদ্ধ কোনও বিষয়চর্চা হতে পারে না। এর সুনির্দিষ্ট ইতিহাস যেমন আছে, তেমনি একইভাবে আছে এর দর্শন ও রাজনীতি; অর্থাৎ বিজ্ঞানের দর্শন ও বিজ্ঞানের রাজনীতি এরকম কিছু। আবার এটাও তো ঠিক যে, পূর্ণেন্দু স্যার তাঁর সাধ্যমত বিজ্ঞানের বিশ্বজগত সম্পর্কে এর সীমানা ও চর্চার হদিসটা তুলে ধরেছিলেন আমাদের সামনে, সাম্প্রতিক সময়ের এর গতিপ্রকৃতি কী- সেটাও না হয় নাই বললেন। তবে সেই সাথে এর মডেলটা কী এবং কীভাবে সেটা আমাদের জানাশোনার মধ্যে প্রবেশ করলো, সেটা তাঁর এই বয়ানের মধ্যে সানুগ্রহে ধরা পড়েছে। বোর্ডহীন একটা আলোচনায় কেমন হাত নেড়ে তৈরি করে নিচ্ছেন উদার আকাশ, তার তারাপুঞ্জ, ছায়াপথের গ্যালাক্সিকে- এটা কম কথা! এখানে একজন শিক্ষক হিসেবে যে তিনি যথার্থই সহৃদয়সংবেদী ছিলেন, সেটা বুঝতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছিল না। এরকম একটা বয়সেও কী ঈর্ষণীয় ভাবে তিনি বিষয়ের অনুপ্রেরণায় বিশ্বকে- এর পরিবার সম্পর্কে আমাদের বলে যাচ্ছিলেন। এখানে তিনি বিজ্ঞানকেই উপস্থাপন করছিলেন, কেবল তার সামগ্রিকতায় ধরা পড়ে গিয়েছিল পৃথিবীর হয়ে কারও বিশ্বজগত সম্পর্কে জানার ঐকান্তিক প্রয়াসটুকু।
পরবর্তীতে আমরা যখন প্রশ্ন-উত্তর পর্বে যাই, তখন সেখানে কী দেখি? বিচারশীল মনে সেটা মেনে নিতে একটু কষ্ট হয় বৈকি। এখানে সহৃদয়সংবেদী এই মানুষটি তাঁর বয়ানকৃত বিষয়ের মধ্যে কেবল থেকে গিয়েছেন, এর বাইরে তিনি না কিছু বলছেন বা নড়ছেন। কিন্তু এখানে আমরা টের পাই, তাঁর এই বিশ্বজগতকে জানা আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক- এই দুই দিক বা সমস্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলতে পারি না। তাঁর জ্ঞান- বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, তিনি বিজ্ঞানের মানুষ, সমস্যা হলো তাঁর মতামত বিজ্ঞানকে নিয়ে সমাজদেহে প্রবেশ করতে পারেনি। তাই এটা রয়ে গেছে সমাজ-বহির্ভূত এবং সাধারণহীন। বলতে গেলে বিজ্ঞানের এক বিশুদ্ধ আহবানে আটকে পড়া এই স্বর। তাঁর বিজ্ঞান চিন্তা আছে, পাঠ ও আলোচনা আছে; কাজের স্বাধীনতার প্রশ্ন এখানে সীমিত। আমরা সেটা নেই তাও বলতে পারি। আমরা এখানে তাঁর সমাজদর্শন বা রাজনৈতিক মতাদর্শ জানতে পারি না। বিষয়ীর জায়গায় তাঁর কাছে বিষয়ই প্রধান; বিষয় সেখানে হয়ে উঠছে বিষয়ী। আমরা দেখবো সেটা আর কিছু নয়, বিষয় হিসেবে হয়ে উঠছে বিজ্ঞানের কলাকৈবল্যবাদী এক পাঠ বা আলোচনা। তাঁর কাছে সমুদয় অগ্রগতি হয়ে উঠছে এই জানা বা জ্ঞান। এই জ্ঞান ছিল সক্রেটিসের কাছে ‘মানুষের আসল সৌন্দর্য।’ আমরা এই জ্ঞানের বিরুদ্ধে নই, সেটা কতটা কাজের বা ব্যবহারিক কেবল সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। (জ্ঞানের কোন মূল্য নেই, যতক্ষণ না তুমি বাস্তবে জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাও।’ -চেকভ) এখানে পৃথিবী সম্পর্কে অবশ্যই জানবো আমরা, বিশব্রহ্মা– যা বিশ্বজগতের নামান্তর, শব্দপাঠের বাইরে সেটা হলো মর্মত এক তাও স্বীকার করছি। এর মধ্যে তাঁর অগ্রগতি একটা গতি পাচ্ছে, জানাশোনার পরিসর থেকে সেটা হয়ে উঠছে বিশাল বিশ্বজগত সম্পর্কে জানা এবং এই জ্ঞান তাঁর ব্যক্তির দায় থেকেও বিশালতর হওয়াকে ব্যাখ্যা করছে। এখানে তাঁর আলোচনায় বিজ্ঞানের দর্শন বলতে আমরা এতোটুকু পাই। দেখা যাচ্ছে সমাজসত্তার প্রশ্ন এখানে তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, জানার আনন্দ বলি বা দায় কিংবা অগ্রগতি, এর সবটা জুড়ে আছে এক মহাকাশচর্চা। আজ এখানে তিনি আমাদের শুধু সেই সাধনার একটা অংশীদারিত্বে আহবান করছেন।
তাই পূর্ণেন্দু’র এই বয়ানে আমরা জীবনে বিজ্ঞানের কোনও তত্ত্বতালাশ খোঁজে পাই না, সমাজসত্তার দিক থেকে দৃষ্টিভঙ্গির যে কসরত, সেটাও আমাদের থেকে থাকে অনুপস্থিত। এখানে জানা’ই আছে, কিন্তু এই জগত- বিশ্ব বা ব্রহ্মা-ের সাথে ব্যক্তি আমি বা সমাজমন কী সম্পর্কে আবদ্ধ তা বুঝতে পারি না। সেটা যদি ¯্রফে জানা হয়, বিশুদ্ধরূপে এই হয় এর মৌল প্রবণতা, তবে বলতে হয় বিশুদ্ধরূপে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সমাজবিদ্যার পাঠে, মার্কসবাদী তত্ত্ববিচারে এটাও শোনা যায় যে, যত যাই হোক, সেটা বিশুদ্ধ হবে না, হবে কাজের এবং পরিবর্তনকামী। এদিক থেকে কেউ বলবেন, পূর্ণেন্দু বাবুর এই আলোচনা সাধারণের কাছে তত বার্তাবহ বা লোকমান্য মনে হয় না। ব্যক্তি মানুষের দিক থেকে তাঁর এই অবস্থান, জানাশোনার কেন্দ্রে ব্যক্তিচেতনার প্রাধান্য, এটা তাঁর চিন্তাসূত্রের দরিদ্র দিক। এই নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
তবুও বলবো, আমরা পূর্ণেন্দু বাবুর মধ্যে যে সুদীর্ঘ ও সক্রিয় জীবন দেখি, এখানে নিখাদ বিজ্ঞানের কথা খোঁজে পাই, সেটাও প্রশংসার যোগ্য। বিশ্বজগত সম্পর্কে এই যে আমরা জানতে পারি, সে আনন্দেরও একটা মূল্য আছে এবং সেটা তত কম নয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com