গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসারে জানা গেছে যে, বর্তমানে দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ তরুণ নিষ্ক্রিয়, অর্থাৎ ঘুরেফিরে যাদেরকে একধরণের বেকার বলে অভিহিত করা যায়, যাঁরা উৎপাদন কর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিকভাবেই জনশক্তিতে পরিণত হতে পারছেন না। তাঁরা পড়াশোনা, কর্মসংস্থান এমনকি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণ থেকেও বিচ্ছিন্ন আছেন এবং এই নিষ্ক্রিয় তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ উল্লেখ করা হয়েছে। পরিশেষে বলা হয়েছে যে, বিশেষজ্ঞদের মতে কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, মেয়েদের বাল্যবিয়ে, শিক্ষার মানে ঘাটতি, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়া, শোভন কাজের অভাব ও সামাজিক পরিস্থিতি এই নিষ্ক্রিয়তা তথা বেকারত্বের কারণ। তাঁরা এ তরুণদের নিষ্ক্রিয়তা কমাতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দেওয়া, ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা ও নারীদের বিনামূল্যের পারিবারিক শ্রমের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের বিরোধিতা করছি না বরং সমর্থন করছি। কিন্তু এইসব পরামর্শ দেওয়া ও তার বাস্তবায়নের ব্যর্থতা অনেক দিনের পুরনো রেওয়াজ। এমন পরামর্শ এবং পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত কেবল দেওয়া ও নেওয়া হচ্ছে, তার বিপরীতে কোনও কাজের কাজ পরিলক্ষিত হচ্ছে না এবং পরিণতিতে কাঠামোগত সহিংসতা দেশ ও দেশের জনগণের ঘাড়ে চেপে বসছে, সিন্দাবাদের ঘাড়ে চেপে বসা বুড়োর মতো। এই ভূতকে নামাতে হবে। আপাতত এইটুকু কেবল বলার আছে।
কিন্তু কেউ যদি আরও কীছু বলার প্রত্যাশা করেন, তাঁর সন্তুষ্টির জন্যে বেশি কীছু নয়, কেবল এইটুকু বলে রাখি যে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার ও কম দামে শ্রম ক্রয় করে অধিক মুনাফা লাভের প্রবণতা থেকে দেশের অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই তরুণদের নিষ্ক্রিয়তা অনেকটাই কেটে যাবে।