পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যন্ত বইমেলা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিস¤পন্ন সাহিত্যিকদের এনে সাহিত্যমেলার আয়োজনের কথাও জানানো হয়েছে। এবংবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে তাতে কোনও সন্দেহ নইে। বিদগ্ধমহলের ধারণা : বইকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া আর একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করার মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। এমন আন্দোলনের সাফল্য দেশের মানুষকে জ্ঞানবিচ্ছিন্নতার অব্যাহত শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করে জাতিকে বিশ^সভায় মর্যাদার উচ্চাসনে সমাসীন করবে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না : এই বই যদি মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক, সংস্কারমুক্ত ও প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধির মানুষ করে না তোলে তা হলে হীতে বিপরীত হবে এবং দেশ যতই আর্থনীতিকভাবে এগিয়ে যাক না কেন প্রকৃতপ্রস্তাবে পিছিয়ে পড়বে এবং বিদেশনির্ভরতা কীছুতেই কাটবে না। অর্থাৎ সাংস্কৃতিকভাবে এগিয়ে না গেলে আর্থনীতিক উন্নয়ন কীছুতেই টেকসই উন্নয়নে পর্যবসিত হবে না। তাই কারও কারও অভিমত এই যে, উপজেলা পর্যন্ত বই মেলাকে সম্প্রসারিত করার আগে বইমেলায় বই সরবরাহ প্রণালীর মুখে একটি ছাকনি ব্যবহার করতে হবে যাতে অপ্রগতিশীল, বিজ্ঞানবিরোধী ও কাঠামোগত সহিংসতা বিস্তারে সহায়ক বই আটকে দেওয়া যায়।