1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ইজারানীতি ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন অমান্যের প্রতিকার করুন

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়েছে। সংবাদপ্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “সেচ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ আহরণ জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শান্তিগঞ্জে জলমহাল শুকিয়ে মাছ শিকার চলছে। উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের পাখিমারা ও রামগুটা জলকরপুঞ্জ জলমহাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬ বছরের জন্য ইজারা নিলেও নীতিমালা মানছে না বীরগাঁও খালপাড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছরে একবার জলমহালে ৫ ফুট পানি রেখে জাল দিয়ে মাছ আহরণের কথা থাকলেও ইজারার প্রথম বছরেই ইজারা নীতিমালা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন অমান্য করে সেলুমেশিন দিয়ে নির্বিচারে মৎস্য নিধন করছে ইজারাদার সমিতির সংশ্লিষ্টরা। এতে মৎস্য প্রজনন ব্যবহত হয়ে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণ করায় সেচ সংকট দেখা দিয়েছে হাওরজমিতে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বোরোচাষ।”
তারপর প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, “এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। যদি সমিতির লোকজন সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, কৃষকদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।”
এরপর ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন’ বলে সম্পাদকীয়র ইতিটানা ছাড়া আর কোনও ইতিকর্তব্য থাকে না। কিন্তু প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রত্যাশা থেকেই যায়। তাই বলি, বেপরোয়া ইজারাদারদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর না হলে ইজারা নীতিমালা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন অমান্য করা অব্যাহত থাকবে এবং পরিণামে মৎস্য প্রজনন ব্যাহত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা কখনওই দূর হবে না এবং কালক্রমে হাওরাঞ্চল চিরদিনের জন্য একদার ধান-বন-মাছের সমৃদ্ধ ভা-ারের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে পর্যবসিত হবে। অথচ বর্তমান সময়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা প্রশাসনিক দায়িত্বটুকু বিধি মোতাবেক পালন করলে বিনষ্ট হতে বসা হাওরের জীববৈচিত্র্য সহজেই রক্ষা পেতে পারে, অন্যথায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে বিপুল জলরাশির হাওর অনিবার্য ‘জলমরুভূমি’ হয়ে উঠলে তার কারণ হিসেবে ইজারাপ্রথার অপব্যবহারের পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টিও ইতিহাস হয়ে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com