1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রশাসনে বিদ্যমান দুর্বৃত্তায়নের সহায়ক শক্তিকে উচ্ছেদ করুন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব ও অন্যান্য অসঙ্গতি নিয়ে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও উদ্বিগ্নতা বাড়ছে। প্রতিবছর ফসলরক্ষার কার্যক্রমের ব্যাপারে এই ‘কী জানি কী হয় না হয়’-এর দোলাচলে কৃষকের কাল কাটে ফসল কেটে ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পকে অর্থ আত্মসাতের প্রকল্প বানিয়ে তোলার অসঙ্গতিতে পূর্ণ পিআইসির সঙ্গে যোগসাজশে প্রশাসনিক গাফিলতি কৃষকের এই যন্ত্রণাকে আরও তীব্র করে তোলে।
বাঁধ নির্মাণকাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, গাফিলতির ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে প্রতিবাদ ও দাবি জানালে কৃষকরা তো কোনও সহায়তা বা আনুকূল্য পায়ই না বরং বিপরীতে অবহেলা, উপেক্ষা ও ক্ষেত্রবিশেষে হয়রানি শিকার হন, তাঁদেরকে শাসনো হয় প্রতিবাদে পথে নামার জন্যে বা মানববন্ধন করার জন্যে এবং এইভাবে প্রতিপন্ন হয় যে : প্রশাসন, পাউবো ও পিআইসির কেউ কেউর সম্মিলনে কৃষকের বিরুদ্ধে চক্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকৃতপ্রস্তাবে যে সত্যকে কীছুতেই অস্বীকার করা যায় না।
এই চক্র ভাঙার জন্যে রাজনীতিবিদদের অগ্রসর হয়ে আসা দরকার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, কার্যত তাঁরা ব্যতিক্রম বাদে সকলেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন এবং জনসম্পদ আত্মসাতের কর্মকা- অবাধে পরিচালনা করার চক্র গড়ে তোলতে প্রকারান্তরে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হয়। তা না হলে “কৃষকের পক্ষে মানববন্ধন করায় হাওর আন্দোলনের নেতাকে শাসালেন ইউএনও!” এবংবিধ শিরোনাম দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হবে কেন? এবং সংবাদে বলা হয়েছে, “জামালগঞ্জের উদ্বিগ্ন কৃষকের পক্ষে সংহতি জানিয়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করে যথাসময়ে শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করায় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতাকে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা তার কার্যালয়ে জামালগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ স¤পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থকে ডেকে নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গত ১৭ জানুয়ারি কেন মানববন্ধন করলেন এ বিষয়ে জানতে চান এবং তাকে শাসিয়ে আগামীর জন্য সতর্ক করে দেন।”
বিদগ্ধমহলের ধারণা এই যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, তেমনি কৃষকবান্ধব সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উচিত ক্ষোভপ্রকাশ করা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন ইউএনও’র প্রভুত্বভ্যঞ্জক এই আচরণের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এবং এবংবিধ একটা কীছু করা স্বাভাবিকভাবেই সঙ্গত বলে বিবচিত হবে এবং প্রতিপন্ন হবে যে, তিনি আসলেই কৃষকের বন্ধু-স্বজন। ইউএনও কর্তৃক হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ স¤পাদকে শাসানোর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি তা (একজন ইউএনওর প্রভুত্বভ্যঞ্জক এই আচরণের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ) না করতে পারেন তবে মনে হতে পারে যে, প্রশাসন, পাউবো ও পিআইসির কেউ কেউর সম্মিলনে কৃষকের বিরুদ্ধে যে চক্র গড়ে তোলে কাঠামোগত সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তিনিও সে-চক্রের বাইরের কেউ নন এবং হাওররক্ষা বাঁধের বরাদ্দ লুণ্ঠনের বাটোয়ারার গোপন অংশিদার। আর পরিশেষে আমাদের কথা হলো : প্রশাসন তো দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের প্রতিহতকরণের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। জামালগঞ্জের ইউএনও কেন দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নকে প্রশ্রয় দেওয়ার অনৈতিক কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন, সেটা কীছুতেই বোধগম্য নয়। প্রশাসনে বিদ্যমান এবংবিধ শস্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভূতকে উচ্ছেদ করা জরুরিভিত্তিতে উচিত। তা না হলে কৃষকবান্ধব শেখ হাসিনার সরকারকে তারা অচিরেই জনগণের কাছে অপ্রিয় ও জনবিচ্ছিন্ন করে তোলবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com