মো. শাহজাহান মিয়া ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের নায়ক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের এতো উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা দেশের সকল গরিব মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ নেতা। কারণ শেখ হাসিনা সব সময় দেশের গরিব মানুষের কল্যাণে বেশি কাজ করেন।
মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমার আগামী দিনের স্বপ্ন হচ্ছে, সুনামগঞ্জে বিমানবন্দর ও রেললাইন চালু করা। আগামী জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। এরপর আর কখনো নির্বাচনে আসবো না। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে বিমানবন্দর হবে। এটার চেষ্টায় আছি আমি। আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিমানবন্দরের জন্য অর্ধ কিলোমিটার জায়গা দরকার। সুনামগঞ্জের আশপাশে এমন জায়গা নির্ধারণ করুন, যাতে জেলার মানুষ সহজে এসে বিমানে চলাচল করতে পারেন। তিনি বলেন, আমি যদি আবার আমার জায়গায় আসতে পারি টুরিস্টদের জন্য এবং আমাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনে আমাদের লোকজন চলাচলের জন্য ছোট রানওয়ে করতে চাই। যাতে তারা টাঙ্গুয়ায় আসতে পারেন। এটা এতো বড় পরিসরে ঢাকা বা চিটাগাংয়ের মতো হবে না। ছোট পরিসরে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে রেলও আসবে। এটার কাজ অনেক এগিয়েছে। সুনামগঞ্জের মানুষ তাহিরপুর-ধর্মপাশা হয়ে সহজে ঢাকা যেতে পারবেন, দিরাই-শাল্লা হয়েও ঢাকা যেতে পারবেন। জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ সেতু হয়ে মানুষ ঢাকা যাচ্ছেন। আমাদের সরকার আরও উন্নয়ন করবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, সুনামগঞ্জে রেল গোবিন্দগঞ্জ থেকে ধারণ বাজার, জাউয়াবাজার হয়ে আসবে। আমার প্রয়োজনে না। মানুষের প্রয়োজনে আনতে হবে। এখান থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত রেল লাইন যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোন বিভেদ চাই না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। যেখানে সকল ধর্মের মানুষ সবাই মিলেমিশে থাকতে পারি। তাই আসন্ন দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সকলের সহযেগিতা প্রয়োজন।
শনিবার জগন্নাথপুর পৌর ভবনে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূইয়া। বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, প্রণয় সূত্রধর খোকন, সাংবাদিক শংকর রায়, হীরা মোহন দে, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া, সুরাই দাস, যোগেন্দ্র দাস প্রমুখ।
এতে জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সহ-সভাপতি আনহার মিয়া, আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর সুহেল আহমদ, কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, নারী কাউন্সিলর শিল্পী বেগম, বাহারজান বিবি, সুবর্ণা শর্মা, ব্যবসায়ী সুধাংশু শেখর রায় বাচ্চু, ধনেশ চন্দ্র রায়, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শশী কান্ত গোপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুকুর আলী ভূইয়া, রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সুন্দর আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্যাণ কান্তি রায় সানি, মিরপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজাদ খান, রাধারমণ সমাজ কল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি জিলু মিয়া, সহ-সভাপতি আছকির আলী, সাধারণ সম্পাদক তাজিবুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী, সদস্য টুনু মিয়া সহ দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ জনতা অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও গীতাপাঠ করেন পৌর প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী।