দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘিলাছড়া ও নরসিংপুর গ্রামবাসীর তিন দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা, রাত ৮টা ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ দফা সংঘর্ষের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংপুর গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র আবুল হাসনাত ও ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত কলমদর আলীর পুত্র কুতুব উদ্দিনের লোকজনের মধ্যে ক্যাপ (টুপি) ও চশমা নিয়ে প্রথম দফা সংঘর্ষ বাধে। এতে হাসনাত, জামালসহ কয়েকজন আহত হন। ওইদিন রাত ৭টার দিকে সৃষ্ট ঘটনা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সালিশপক্ষ দিন তারিখ নির্ধারণের জন্য বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষ হতে না হতেই রাত ৮টার দিকে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে ঘিলাছড়া গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র আজির উদ্দিন, একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র রমজান আলী, মৃত মসদ আলীর পুত্র আলমগীর, মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আছাব আলী, সালিশ পক্ষে সিরাজপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র মনোয়ার আলী মনর, একই গ্রামের মৃত আসকর আলীর পুত্র কয়াছ মিয়া, খাইরগাঁও গামের ভ্যানচালক সিরাজ আলী, বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র আব্দুন নুরসহ ৮-১০জন আহত হন। এদিকে ওই দুই দফা সংঘর্ষের জের ধরে দুই গ্রামবাসী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আছমত আলী কালা ও আলমাছ আলী, নরসিংপুর গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র রুমান হক, একই গ্রামের মৃত হাফেজ আব্দুল লতিফের পুত্র জুবায়ের আহমদ, মৃত আরজ আলীর পুত্র বিল্লাল হোসেন ও খাইরগাঁও গ্রামের পথচারি কালা মিয়াসহ অন্তত ৩০জন। ওই তিন দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি ফোর্স বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।