স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরের বোরোধান পাকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে ধান কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমান করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাস জনিত সংক্রমণের আশঙ্কা বিদ্যমান থাকায় বিভিন্ন নিয়মাবলি অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লখ করা হয়েছে- স্থানীয় কৃষি শ্রমিকদের মাধ্যমে ধান কাটা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আগামী পহেলা বৈশাখ হতে সকল বালু ও পাথর কোয়ারি, বারকি শ্রমিক এবং ইট ভাটায় নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে তাদেরকে ধান কাটার কাজে নিয়োজিত করুন। চলমান সংকটের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া রিকসা/ভ্যান/সিএনজি চালক, পরিবহন শ্রমিক, হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীদের উদ্বুদ্ধ করে ধান কাটার কাজে নিয়োজিত করুন। কোনো কৃষি শ্রমিকের জ্বর / সর্দি লাগা / শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিলে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। কোনোভাবেই অসুস্থতার বিষয়টি গোপন করা যাবে না। রাত্রিকালীন অবস্থানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর শোবার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল / হাই স্কুল / মাদ্রাসা বা কলেজের ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করুন। কোথাও আশ্রয়কেন্দ্র পাওয়া না গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে ত্রাণের তাঁবু নিন। অতি দ্রুত ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিন/রিপার মেশিন ভাড়ায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা হতে চালকসহ কমাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ভাড়ায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ধান কাটা চলাকালীন ধান কর্তন সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার যন্ত্র (কমাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, মাড়াই কলসহ অন্যান্য) মেরামতের ওয়ার্কসপসমূহ সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। ধান কর্তন সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট যন্ত্রসমূহ চালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জ্বালানী তেলের বিক্রয়কেন্দ্র/দোকান সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। ধান কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকের তালিকা স্থানীয় প্রশাসন / ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিতে হবে। ধান কাটার পর বিক্রয়ের জন্য নিকটস্থ হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপত্তা মার্কিং ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপত্তা রক্ষা করে বিক্রয় কার্যক্রম চালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে বিক্রয় কার্যক্রম চালনা করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।