পত্রিকায় লেখা হয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড’ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বুঝতে হবে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের মহাসিং নদীর পাড়ের পরিত্যক্ত একটি সরকারি গুদামঘরে এই বিজ্ঞপ্তিটি শোভা পাচ্ছে। যে-কোনও ভবন এমন মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতেই পারে। এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই ভবনটির সঙ্গে ঘটনাচক্রে একটু ব্যতিক্রমী অবস্থার সংশ্লিষ্টতা বিদ্যমান। ভবনটির অবস্থান এমন এক স্থানে, যেখানে একটি খেয়াঘাট আছে। এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক পরাপার করে থাকেন। খেয়া থেকে পাড়ে উঠে এই গুদামঘরের ছাদের তলা দিয়ে পথ অতিক্রম করতে হয়। এই ছাদটি এমনভাবে চলাচলের পথের উপর ঝুলে আছে যে, যে-কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। আর ভেঙে পড়লে হতাহতের আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
নিয়মানুসারে কোনও ভবন পরিত্যক্ত হলে সে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই অপসারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কী কারণে জানা নেই, উক্ত পড়পড় ভবনটির অপসারণের কাজ ভবনের ঝুলন্ত ছাদটির মতোই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই ছাদটি মানুষের উপর ভেঙে পড়ে খুনি হয়ে উঠলে পরে, কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে, এর আগে এই ভবনটি অপসারণের কাজ শুরু হবে না, একেই বলে কর্তৃক্ষীয় কাজ। বলা বাহুল্য, আচম্বিতে ধ্বসে পড়ে কোনও হতাহতের মতো দুঃখজনক দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই গুদামঘরটি অপসারণের কাজে তৎপর হওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম, কোনও অজুহাতেই কালক্ষেপণ করা সমীচীন নয়। অন্যথায় খোয়াঘাটটির স্থানান্তর করা আবশ্যক। অথবা যদি আইনি কোনও বাধা না থকে তাহলে সমাজিক উদ্যোগে ভবনটির অপসারণের কাজটি সম্পন্ন করা যেতে পারে।