স্টাফ রিপোর্টার ::
বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে বেড়া দিয়ে বাদীর চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে আসামিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি গোপালপুর গ্রামের কয়েকজন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন একই গ্রামের ফারহানা ফাহমিদা। এর জের ধরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আসামিপক্ষের লোকজন বাদীর চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
ফাহমিদার অভিযোগ, এর আগে ১৪ আগস্ট দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাত থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। সংবাদ পেয়ে দুপুরের দিকে দোয়ারা থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধমুক্ত করে ফাহমিদা ও তার পরিবারের লোকজনদের।
এদিকে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা ফাহমিদার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় দোয়ারাবাজারের ইউএনও কাজী মহুয়া মমতাজ-এর সরেজমিন তদন্তে। সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের নির্দেশে অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করেন দোয়ারার ইউএনও। ০৬/০৬/২০১৮ তারিখের তদন্ত রিপোর্টে গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র আসামি আইনুল হক (২৬), কলিম উদ্দিন (১৮)-এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য দোয়ারাবাজার থানার ওসিকে অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে ফারহানা ফাহমিদার চলাফেরার স্বাধীনতা ও সকল ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারকে নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও কাজী মহুয়া মমতাজ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ইউএনও’র নির্দেশনাকে গ্রাহ্যের মধ্যে আনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি না করায় পরিস্থিতিটি বর্তমানরূপে পতিত হয়েছে বলে ফাহমিদা অভিযোগ করেন।
মান্নারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ জানান, ফারহানা ফাহমিদা ও তার পরিবারের চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।
ফারহানা ফাহমিদা আরো অভিযোগ করেন, মামলা তুলে নিতে তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার মতো আর কোনো নারী যাতে হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার না হয় – এটাই আমি চাই।