হাওরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণে অনিয়ম নতুন নয়। মৎস্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা এ কাজে নানা অনিয়ম করছেন। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না তারা।
অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার দুই মৎস্য কর্মকর্তা হাওরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পোনা অবমুক্তকরণ কাজে স্বচ্ছতা না থাকায় ও এ নিয়ে নয়-ছয় করায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাওরে পোনা অবমুক্তকরণ কাজে অংশ নেননি।
চলতি অর্থ বছরে ধর্মপাশা উপজেলায় উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি স্থাপন ও পোনা অবমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা পোনা মাছ সংগ্রহ কমিটি সভা করে হাওরে মাছের পোনা অবমুক্তির ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এই নিয়মের কোনো রকম তোয়াক্কা করেননি।
পোনা অবমুক্তির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান এতে অংশ নেননি। ধর্মপাশা উপজেলা মৎস্য অফিস এখানকার পাঁচটি হাওরে মাছের পোনা অবমুক্তির কথা প্রচারণা চালালেও বাস্তবে তারা দুটি হাওরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। বাকি পুরোটাই নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে।
এমন অনিয়ম কিছুতেই কাম্য নয়। পোনামাছ অবমুক্তকরণে নয়-ছয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। পাশাপাশি হাওরপাড়ের মৎস্যজীবীরা জীবন-জীবিকার স্বার্থে জলমহালগুলো উন্মুক্ত করতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।