জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে জনবল সংকটে ব্যাহত কার্যক্রম। সুনামগঞ্জে মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারি শিক্ষা অফিসার পদে অর্ধেকেরও বেশি পদ না থাকায় জোড়াতালি দিয়ে ক্লাস্টার পরিচালনা করা হচ্ছে। যার ফলে মফস্বলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নজরদারি কমে গেছে। তাছাড়া উপজেলা অফিসগুলোতে উচ্চমান সহকারি, অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক পদে অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে অফিসিয়াল কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। যে কারণে অফিসে সেবা নিতে আসা শিক্ষকগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা অফিসে দুইজন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং একজন মনিটরিং অফিসার থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ওই পদগুলো শূন্য রয়েছে।
জেলার ১১টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্মরত। উপজেলাগুলোতে ৬১ জন সহকারি শিক্ষা অফিসার থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ২৮জন। উচ্চমান সহকারি পদে ১১টি উপজেলায় থাকার কথা থাকলেও মাত্র দুইজন রয়েছেন। তাছাড়া অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে ২২ জনের মধ্যে মাত্র ৮জন কর্মরত রয়েছেন। হিসাব সহকারি ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬জন, অফিস সহায়ক পদে ১১ জনের মধ্যে মাত্র একজন কর্মরত।
অফিসগুলোতে জনবল সংকট থাকায় জরুরি কাজ সারতে দিন পার করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। তাছাড়া বিশেষ করে অবসর ভাতা, মেডিকেল ছুটি, প্রমোশনের কাজগুলোও থেমে গেছে। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত, জেলা এবং উপজেলার শিক্ষা অফিসগুলোতে জরুরিভিত্তিতে জনবল সংকট নিরসন করা।