এ বছর হাওরপাড়ে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা এর আগে কখনো ঘটেনি। বাঁধ ভেঙে ফসলহানির প্রভাব পড়েছে প্রতিটি সেক্টরে। যা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এই দুর্যোগে হাওরপাড়ের প্রতিটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষকদের মতো জেলেরাও পড়েছে বিপাকে। তাদের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। হাওরে বা নদীতে মাছ না পেয়ে জেলেদের এখন ঘরে বসেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মৎস্যজীবীরা কেউ কেউ পেটের তাগিদে হয়েছেন দিনমজুর বা রিকশা চালক। তারা সরকারি কোনো প্রকারের সাহায্য পাচ্ছেন না।
মাছ ধরার আশায় নৌকা নিয়ে জেলেরা নদীতে বা হাওরে গেলেও দিন রাত কষ্ট করে লাভ হচ্ছে না। বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। অনেকে মাছ ধরায় ব্যবহৃত নৌকা নদী থেকে ডাঙায় তুলে রেখেছেন।
প্রান্তিক জেলেরা জানান, নদীতে গেলে মাছ পান না তারা। ঘরে ছেলে-মেয়ের খাবার ও সংসারের খরচপাতি নিয়ে মহাবিপদে আছেন তারা। একটি বছর কিভাবে তারা সংসারের খরচ যোগান দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাদের জেলে কার্ড থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য পাননি।
জেলা মৎস্য স¤পদ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় ১০০টিরও বেশি জেলে সম্প্রদায়ভুক্ত গ্রাম আছে। এবারের ধান পচে জেলায় মাছ মরেছে ৪৯.৭৫ মেট্রিক টন। যার মূল্য ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। জেলায় মৎস্যজীবীদের সংখ্যা ৮৪২৪৮ জন। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪৪৪৫ জন মৎস্যজীবী।
আমরা সরকারে কাছে দাবি জানাই, কৃষকদের পাশাপাশি জেলেদের জন্য দ্রুত সহায়তার ব্যবস্থা করা হোক।