মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজারের কাটাখালি-পুটিপশি এলাকার সুরমা নদীর বেড়িবাঁধ দুই বছরেও সংস্কার ও মেরামত না করায় হুমকির মুখে রয়েছে ৩০০ একর জমির ইরি-বোরো ফসল। এছাড়া পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের কাটাখালি, জালালপুর, দুর্গাপুর, ডুমবান্দা, ডুলপশি, রাজারগাঁও, বাজারগাঁও, কামারগাঁও, পুটিপশি, মান্নারগাঁওসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম। স্থানীয়রা জানান, পাহাড়িঢলে গত বছর বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে বড় বড় ভাঙনের ফলে ফসলহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে বেড়িবাঁধ সংস্কার ও ভাঙন ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত বছর বর্ষাকালে বেড়িবাঁধের ভাঙা দিয়ে বানের পানি ঢুকে এলাকায় অকাল বন্যা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলা মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়সহ সব ক’টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাহত হয়েছিল পাঠদান। চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা। বৃষ্টিপাত শুরু হলেই উজানের পানি নেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃত্রিম বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হবে। গত জানুয়ারি মাসে দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও মেরামত করার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করলেও এখনো কোনো প্রতিকার মিলেনি। উদ্যোগ নেই বেড়িবাঁধ সংস্কারের। দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক স্বপন দাস জানান, বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় গত বছর আমাদের কষ্টের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবছরও ফসলহানির শঙ্কায় কৃষকদের চোখে এখন ঘুম নেই। ডুলপশি গ্রামের রহমত আলী বলেন, বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় এ বছরও আমাদের কষ্টের বোরো ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হবে। মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়না মিয়া জানান, বর্ষার আগেই আমরা ভয় পাচ্ছি। নদী ভাঙন রোধ ও বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় পাহাড়ি ঢলে বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে পাঠদান কার্যক্রম। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করছি।