1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মধুর দ্বন্দ্বে জেলা আ.লীগ সেক্রেটারি নিয়ে আলাদা এমপিরা, আরেকাংশ নিয়ে সভাপতির বলয় সৃষ্টি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি ::
দুই নেতার জেলা আওয়ামী লীগে এখন ‘মধুর দ্বন্দ্ব’ চলছে। সভাপতি মতিউর রহমান জেলা শহরের আওয়ামী রাজনীতির প্রভাবশালী অংশ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন আওয়ামী লীগের ৫ সাংসদকে নিয়ে আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দুই নেতা দুই দিকে ব্যস্ত থাকায় কর্মীরা আছেন বিপাকে। ফলে শহরে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোন কর্মসূচিই পালিত হচ্ছে না।
জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল পৃথক সভা-সমাবেশ করেন। ওই সময় স্থানীয় ৫ সাংসদ ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে নিয়েও জেলা শহরে পাল্টা-কর্মসূচি পালন করেন। এই সময়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলেও ‘কৌশলে কাছে ছিলেন’ মতিউর-ইমন। যার ফলে দু’জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পেরেছেন বলে ওই সূত্র জানায়।
গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর জেলা আওয়ামী লীগে নানা মেরুকরণ দেখা দেয়। দীর্ঘ দুই যুগের চরম বৈরিতা ভুলে মুকুট-জগলুল একই ঐক্যের মোহনায় পৌঁছেন। মতিউর রহমানকেও তাদের বলয়ে যুক্ত করা হয়।
এদিকে জেলা আ.লীগের দুই নেতার নাম ঘোষণার পর মতিউর রহমান ও ব্যারিস্টার ইমন শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে একই মঞ্চে সমাবেশ করেন। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের মাঠেও তারা একই মঞ্চে সমাবেশ করেন। দুইজন সমঝোতায় পৌঁছতে প্রায় কাছাকাছি চলে গেলেও নানা হিসেব-নিকেশের কারণে ওই দৃশ্যমান ঐক্যে ফাটল দেখা দেয়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মতিউর রহমানের কারণেই স্থানীয় সাংসদরা ব্যারিস্টার ইমনকে তাদের সঙ্গে টেনে নিয়েছেন। জানা গেছে, নানা কারণে সুনামগঞ্জের আওয়ামী লীগের ৫ সাংসদরাই মতিউর রহমানকে পছন্দ করেন না।
সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মতিউর, মুকুট-জগলুল আবারও সক্রিয় হোন। ৫ সাংসদ সক্রিয় হোন ব্যারিস্টার ইমনকে নিয়ে। নূরুল হুদা মুকুট বিভিন্ন সভায় ও সংবাদ সম্মেলন করে ওই সময় ৫ সাংসদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। নির্বাচনের পরে বিজয়ী হয়েও তিনি তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ৫ সাংসদের বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে মতিউর রহমান ও জগলুলও উপস্থিত ছিলেন। এভাবে গত ১৬ জানুয়ারি নূরুল হুদা মুকুটের সংবর্ধনা সভায়ও সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব মুকুট ৫ সাংসদের বিরুদ্ধে আবারও বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনেন। ওই সভায় মতিউর রহমান দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে জলমহালসহ বিভিন্ন মহাল ভোগদখলের অভিযোগ এনে তাদেরকে ‘ভালো হয়ে যাওয়া’র কথা বলেন।
মতিউর রহমানকে নিয়ে জেলা শহরের প্রভাবশালী আওয়ামী রাজনীতিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়ায় স্থানীয় সাংসদরাও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা বিভিন্ন উন্নয়ন সমাবেশে ব্যারিস্টার ইমনকে অতিথি করছেন। সম্প্রতি সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ব্যারিস্টার ইমনকে নিয়ে একাধিক উন্নয়ন সভা-সমাবেশ করেছেন। অন্য সাংসদরাও দলীয় কাজে ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের পরামর্শ নিচ্ছেন। এভাবে সাংসদরা ইমনকে নিয়ে এবং মুকুট জগলুল মতিউরকে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে মতিউর রহমান সুনামগঞ্জের সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বিরাজ করছে।
গত ১৬ জানুয়ারি সরকারি জুবিলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় মতিউর রহমান এমপিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন। আওয়ামী লীগের একজন সাংসদের বিজয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com