সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবার ৬৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত ৭ ডিসেম্বর মামলার আসামিদের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।
এর আগে গত ডিসেম্বরে এ মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়। আসামি বিপুলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও রিপনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
রায় ঘোষণার পর অ্যাডভোকেট মো. আলী জানান, রিভিউয়ের বিষয়ে আলাপ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের আপিল না করায় তাদের দন্ডও বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মুফতি হান্নানসহ ৩ জনের ফাঁসি ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মৃদ্যুদন্ড বহাল থাকা দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষস্থানীয় নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও হুজির সিলেট অঞ্চলের সংগঠক শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আপিল করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। ওই গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন