স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই কোমরবেঁধে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্যপ্রার্থীরা। প্রার্থীরা নির্দলীয় হলেও সরকারি দল আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে নানামুখী তৎপরতা চালিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণায় তাদের কোনো প্রার্থীকে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি।
এদিকে, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা জোরেশোরে মাঠে কাজ করছেন। যেহেতু তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার তাই তাদের পেছনেই ছুটছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কেউ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন, কেউ করছেন নিয়মিত মতবিনিময় আর কৌশলে ভোটপ্রার্থনার কাজটিও সেরে নিচ্ছেন। তাই আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মূল্যায়ন ও কদর বেড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। যারা কোনোদিন তাদের খোঁজখবর নেননি, তারা ইউনিয়ন পরিষদ এমনকি জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি গিয়ে ভোট ও সমর্থন প্রার্থনা করছেন। অনেকে আবার মুঠোফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাই প্রোফাইল প্রার্থীও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাথে সাক্ষাৎ করে ভোট ও সমর্থনের জন্য তদ্বির করেছেন।
এক ইউপি সদস্য জানান, বড় নেতারা আমাদের সাথে দেখা করবেন তা ভাবতেও পারিনি। কিন্তু তারা ভোট চাইতে আমাদের দ্বারে দ্বারে আসছেন। তাদের এমন মূল্যায়ন আমাদের ভালোই লেগেছে।
এদিকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ১৫টি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান, সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট ও দোয়া চাইছেন নিয়মিত।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের (জেলা নির্বাচন অফিসার) নিকট ছাড়াও অনলাইনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী পহেলা ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। ৩রা ও ৪ঠা ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ই ডিসেম্বর এবং ২৮ শে ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ।