স্টাফ রিপোর্টার ::
সম্প্রতি সম্পন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রার্থী ও কর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। জামালগঞ্জ সদর উপজেলায়ও ছিল উৎসবের আমেজ। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়নও দেয়। কিন্তু ভোটার হালনাগাদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে জামালগঞ্জ সদর ও উত্তর ইউনিয়নে। ফলে একদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ পরিষদ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অন্যদিকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাহচর্য্য থেকে। এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ইউনিয়নে নির্বাচন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সরকার কিছুদিন আগে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নকে দু’টি ইউনিয়নে বিভক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। একটি জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এবং অপরটি জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন। কিন্তু ভোটার সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে বিধি অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ থাকার কথা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যানই দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, অন্য কোন কারণে নয়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সমন্বয়সভায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসার।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জামিল আহমদ জুয়েল বলেন, ইউনিয়নের মানুষ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনমুখর উৎসব থেকে বঞ্চিত থাকায় হতাশ। তারা দ্রুত সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক কামরুজজামান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় তফসিল ঘোষণা হচ্ছেনা। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হলেই এই ইউনিয়নে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে।