বিশেষ প্রতিনিধি ::
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সমর্থন কে পাচ্ছেন এনিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। এ পদে কাকে দল থেকে সমর্থন দেয়া হবে তা জানতে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী জীবনবৃত্তান্তসহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে সমর্থন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দলীয় সমর্থন দৌড়ে এগিয়ে আছেন দুই প্রার্থী জেলা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট। তাঁরা দু’জনই পৃথকভাবে জীবন বৃত্তান্তসহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এই দুই প্রার্থীকে ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগও দুই ভাগে বিভক্ত। ব্যারিস্টার ইমনের পক্ষে জেলার বেশ কয়েকজন এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষে আছেন কয়েকজন পৌর মেয়র ও কয়েকজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। বর্তমানে এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী দলীয় সমর্থন আদায়ের শেষ মুহূর্তের লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী ঢাকায়।
গত ৫ নভেম্বর সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনায় নুরুল হুদা মুকুট তাদের সমর্থন চান।
অন্যদিকে শনিবার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান সরকুমের শোকসভায় প্রায় আড়াই শতাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নান্দনিক ও সমৃদ্ধ জেলা গড়তে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে নান্দনিক সুনামগঞ্জ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। এই এলাকায় অনেক শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্থানীয় নেতাদের নামে ভাস্কর্য, যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, খেয়াঘাট আধুনিকায়ন, মঞ্চসহ উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন কাজ করেছি। নেতাদের কর্মীদের সুখ-দুঃখে কাছে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করছি দল আমাকে সমর্থন দেবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট বলেন, আমি আশাবাদী। দল আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সমর্থন দেবে।