সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রায় তিন দশক আগে যার সরকারের অধীনে প্রথম জেলা পরিষদ আইন হয়েছিল, সেই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অর্থহীন মনে করছেন। রোববার রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করব না। কারণ এই নির্বাচন অর্থহীন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৪৫ জন লোক মারা গেছে। আমরা হত্যা, হানাহানি এবং অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে না গেলেও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন এরশাদ। আর সেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে কীভাবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত, সে বিষয়ে নিজের মতামতও তিনি তুলে ধরেছেন। যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি বিধিসম্মত, বাস্তবসম্মত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। যারা সংসদের বাইরে আছে, তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নাই।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুর রহমানের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার যে আইন করেছিলেন, সেখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল, পরে ওই আইন অকার্যকর হয়ে পড়ে। ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়। আর কোনো জেলা পরিষদে কখনো ভোট হয়নি। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে। পরের বছর ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষে আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নির্বাচন হচ্ছে।