1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধর্মপাশা খাদ্য গুদাম:: ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা সদর খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। প্রতিদিনই কৃষকেরা গুদাম উপযোগী নমুনা ধান গুদামে নিয়ে এসে পরীক্ষা করালেও স্থান সংকটের কারণে কৃষকদের চাহিদা মতো গুদাম উপযোগী ধান গুদামজাত করা সম্ভব হচেছ না বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
ধর্মপাশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দুটি খাদ্য গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে ধর্মপাশা সদর খাদ্য গুদামের আওতায় চারটি ইউনিয়ন ও মধ্যনগর খাদ্য গুদামের আওতায় ছয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কেজি ধানের বিক্রয়মূল্য ২৩ টাকা ও প্রতি মন ধান ৯২০ টাকা মূল্য নির্ধারণ রয়েছে। প্রত্যেক কৃষক সর্বনি¤œ ৪০ কেজি ও সর্বোচ্চ তিন মেট্রিক টন ধান গুদামে বিক্রয় করতে পারবেন। চলতি বছরের ১৯ মে থেকে এ দুটি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ধর্মপাশা খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। আর মধ্যনগর খাদ্য গুদামে নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৩৬২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ধর্মপাশা খাদ্য গুদামে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এক হাজার একশ মেট্রিক ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। একইদিন পর্যন্ত মধ্যনগর খাদ্য গুদামে ৮৯৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
ধর্মপাশা খাদ্য গুদামের ধারন ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৫০০ মেট্রিক টন। প্রতিদিনই প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা গুদামজাত করার জন্য পরীক্ষামূলক নমুনা ধান নিয়ে আসছেন। কিন্তু স্থান সংকটের কারণে একই সঙ্গে সব কৃষকের ধান গুদামজাত করা সম্ভব না হওয়ায় অনেক কৃষকই বিষণœ মনে বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের কৃষক মন্তাজ মিয়া (৪৫) বলেন, ‘হাট বাজার দামের থাইক্যা গুদামে সরহার ধানের দাম বেশি দিছে। আমি ৬০ মন ধান গুদামও দেওয়ার লাইগ্যা বুধবার কিছু ধান পরীক্ষার লাইগ্যা নিয়া আইছিলাম। অফিসার পরীক্ষা কইর‌্যা কইছইন ধান ভালাই আছে। তয় কুনদিন দিতা হারাম হেইডা অফিসারসের জিগাইলে হেইন কইছইন কয়দিন পরে নিতে অইবো।’
উত্তরবীর গ্রামের কৃষক মো. দুলাল মিয়া (৪৩) বলেন, আমি জীবনের প্রথমবার সরকারি গুদামও ধান দিছি। ধান দিতে গিয়া কেউরে কুনু টেহা পইসা দিতে অইছে না। এইভাবে পুরা দেশটা চললে দেশটাই বদলাইয়া যাইবো।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের কৃষক আলী আশরাফ (৪০) বলেন, দিন ভালা অইলেই গুদামের সামনে ধানের টেক লাইগ্যা যায়। ধান দেওয়ার সিরিয়াল লাইগা থাহে। স্যারেরা কইছইন গুদামও জায়গা কম। কুনদিন যে ধান গুদামে দিতা হারবাম হেইডা উফুর ওয়ালাই জানে।
ধর্মপাশা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মনধন চন্দ্র দাস বলেন, গুদামে স্থান সংকটের কারণে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ন্যায্যমূল্যে তাদের চাহিদামতো ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তবে প্রতিদিনই ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিনয় কুমার দেব বলেন, ধর্মপাশা উপজেলায় মাত্র একটি মিল থাকায় দ্রুত বিপুল পরিমাণ ধান একসঙ্গে ছাঁটাই সম্ভব নয়। ধারন ক্ষমতা কম থাকায় একই সঙ্গে এখানে আসা সব কৃষকের ধান গুদামজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে অপেক্ষমান সব কৃষকদের গুদাম উপযোগী ধান গুদামজাত করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক কৃষক রয়েছেন যারা প্রত্যেকেই তিন মেট্রিক টন করে ধান গুদাম জাত করার জন্য অপক্ষোয় রয়েছেন বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন। খাদ্য গুদামে কৃষকেরা এসে ধান দেওয়ার ব্যাপারে যাতে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ নজর রাখা হচেছ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এ সমস্যা সমধানে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com