মাসুদ আলম চৌধুরী ::
সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় সুরমা নদীর উপর নির্মিত আব্দুজ জহুর সেতু এবার শহরের ঈদবাজারের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। সেতুর বদৌলতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ হওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম থেকে সহজেই মানুষজন শহরে আসতে পারছেন। দিনে দিনে কেনাকাটা করে আবার বাড়ি ফিরতে পারছেন তাঁরা। এজন্য এবার কেনাকাটা করতে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন শহরে আসছেন। সেতু নির্মাণের আগে যা সম্ভব ছিল না বলে অনেকে জানিয়েছেন।
পূর্বে শহরে কোন কাজে আসতে হলে দু’এক দিন আগে আসতে হত। কিন্তু এবার আব্দুজ জহুর সেতুই চেহারা পাল্টে দিয়েছে সবকিছুর। এবারের ঈদে শহরে ক্রেতার সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে শহরে এখন রমরমা ব্যবসা হচ্ছে। এতে বেজায় খুশি ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতান জমে উঠে। বর্তমানে সীমান্তবর্তী জেলা সুনামগঞ্জে ঈদের বাজার পুরোদমে জমে উঠেছে। প্রতিদিনই লোকসমাগম বাড়ছে বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানগুলোতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আব্দুজ জহুর সেতু হওয়ার কারণে এখন মানুষ সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারছে। যে কারণে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন কেনাকাটা করতে শহরে আসছেন। এদিকে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানে বেচাকেনাও চলছে ভালো। কাপড়ের দাম বেশি থাকলেও ঈদকে আনন্দময় করে তুলতে দামের দিকে তাকাচ্ছেন না ক্রেতারা। পরিবার-পরিজনদের মুখে ঈদের হাসি ফুটাতেই এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। ভিড় আছে শহরের টেইলার্সের দোকানগুলোতে। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন বিপণি বিতানে আলোকসজ্জাও করা হয়েছে।
বিভিন্ন বিপণি বিতানের দোকান মালিকরা জানান, সুনামগঞ্জে এবার আব্দুজ জহুর সেতুর বদৌলতে শহরের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ আসতে পারছেন। ঈদের বাজারে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সহজেই সাধারণ মানুষজন আসা-যাওয়া করতে পারায় বদলে গেছে শহরের ঈদবাজারের দৃশ্যপট।