জয়ন্ত সেন ::
কুশিয়ারা নদীর ডান তীরে অবস্থিত শাল্লা উপজেলার ভেড়াডহর হাওর। মুছাপুর গ্রাম থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত ৬শ’ মিটার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৫৪নং পিআইসিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৪০ টাকা। অথচ এটি একটি যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রায় অক্ষত সড়ক। মেদা-মুছাপুর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়া যায় একেবারে গ্রাম শাল্লা পর্যন্ত। শক্তপোক্ত কাচা রাস্তার সড়কটিতে হাওররক্ষা বাঁধের নামে প্রকল্প দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ বাঁধের টাকা লুটপাট করতেই এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ভেড়াডহর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়কুমার বৈষ্ণব বলেন, এখানে হাওররক্ষা বাঁধের কোনো প্রয়োজনই নেই। গাড়ি ঘোড়া চলাচলের জন্য অল্প মাটি ফেলা হচ্ছে। বর্ষায় সড়কের পশ্চিম দিকে ঢেউয়ে একটু ভাঙ্গছে। এখানে পিআইসি না দিলেও হতো। এদিক দিয়ে হাওর তলিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভবনাই নেই।
এ বিষয়ে পাউবোর শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, স্থানীয় মানুষের কথার কোনো ভেলু নাই। তারা তো না মাফজোক না বুইজ্যাই বলেন। দেইখ্যা বলতে হবে। শুধু আকাশে-বাতাসে ঘুইরা বললে হবে না।
এ বিষয়ে ওই পিআইসির সভাপতি সখিচরণ বৈষ্ণব বলেন, এখানে পিআইসির লাগি ৬-৭টা আবেদন পড়ছে। উপরে ৬-৪ইঞ্চি মাটি পড়ার কথা তিনি স্বীকার করে বলেন প্রয়োজনে লাগলে আরো মাটি দিব। আচ্ছা এটা পড়ে বুঝমুনে বলে তিনি জানান।