শাল্লা প্রতিনিধি ::
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘৩জন এডিসি ও সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২০জন কর্মকর্তা শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষে উপহার স্বরূপ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছেন। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় বেশকিছু সরকারি ঘরের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। যা একেবারেই মনগড়া। কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বাহাড়া ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামে সরেজমিনে এসব মনগড়াভাবে নকশা পরিবর্তন করে সরকারি ঘর তৈরি করতে দেখা যায়। এমন নিয়ম বহির্ভূতভাবে ডিজাইন তৈরির নির্দেশ কে দিয়েছেন – এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজমিস্ত্রি রায়ধন দাস বলেন, মামুনুর স্যার এভাবে ঘর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, জেলায় একটি রেজুলেশন করা হয়েছে। সেখানেই জায়গা যাদের কম তাদের এভাবেই ঘর তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদের সামনে ঘরের নকশা পরিবর্তন করা যায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি ঘরের ডিজাইন চেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই। যে ডিজাইন চেঞ্জ করেছে আমরা তার বিরুদ্ধে লেখবো এবং পরিবর্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের নিকট ঘরের ডিজাইন কেনো পরিবর্তন করা হলো তিনি জানতে চান এবং কোনোভাবেই সরকারি ঘরের ডিজাইন পরিবর্তন করা যাবে না বলে তাঁকে বলেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, সরকারি ঘরের ডিজাইন কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। যারা করেছেন তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।