স্টাফ রিপোর্টার ::
ধোপাজান-চলতি নদী বালু-পাথর মহাল থেকে চাঁদাবাজদের উচ্ছেদ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চাঁদাবাজ উচ্ছেদের জন্য তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করেন।
মতিউর রহমান বলেন, ধোপাজান-চলতি নদীতে রয়েলিটি আদায়ের কোনপ্রকার বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরও একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম। তারা সেই অনুরোধ রেখেছেন। ধোপাজান-চলতি নদী এখন চাঁদাবাজ মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এতোদিন ধরে শুনে আসছিলাম পকেটমারেরা ধনী মানুষের পকেট মারে, কিন্তু ধোপাজান চলতি নদীতে বড় লোকেরা গরিবের পকেট মেরে টাকার পাহাড় গড়ছে। তাদের রিকসা কেনার ক্ষমতা না থাকলেও আজ তারা বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের কবল থেকে শ্রমজীবী মানুষগুলোকে মুক্ত করার প্রয়াস সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। পাশাপাশি এই করোনা মহামারিকালে তাদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
করোনভাইরাস মোকাবেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মহামারি মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে যে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
মতিউর রহমান আরো বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের তাদের নিজ বাড়িতে না রেখে নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে, তেমনি আক্রান্তরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।