1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

করোনা আক্রান্ত নারী বাড়িতে নাকি হাসপাতালে সংক্রমিত হয়েছেন?

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদিন পর সদর উপজেলায় এক সিকিউরিটি গার্ডের প্রসূতি স্ত্রীর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই নারীর স্বামী সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন বলে শুরুতে জানানো হয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। কিন্তু পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি ৯ মাস পূর্বে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসে কৃষিকাজ করছেন তিনি। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ওই প্রসূতি নারী বাড়িতে নাকি সুনামগঞ্জ সদর কিংবা সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংক্রমিত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন জানান সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুইয়ে।
সরেজমিনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাঁওয়ে গেলে আক্রান্ত নারীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই নারীর প্রসব ব্যথা ওঠার পর স্বজনরা ডেলিভারির জন্য সদর হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য তার ‘ও’ নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে রক্ত যোগাড় করতে না পারায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে রাতেই অপারেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরবর্তীতে তার সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করলে ফলাফল পজেটিভ আসে।
আক্রান্ত মহিলার স্বামী বলেন, আমি এলিট ফোর্স নামক একটি সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানিতে চাকরি করতাম। ৯ মাস আগে চাকরি চলে গেলে বাড়িতে এসে কৃষিকাজ শুরু করি। এরপর থেকে আর ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জে যাইনি।
তিনি বলেন, আমার ধারণা আমার স্ত্রী হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
তাঁর এমন দাবির সত্যতা স্বীকার করেন প্রতিবেশী শুকর নেছা বলেন, আক্রান্ত মহিলার স্বামী ৯ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসে। এরপরে আর সেখানে যায়নি।
এমন দাবির স্বপক্ষে বলেন, অপর দুই প্রতিবেশী আলেক মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ।
সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি সঠিক হলে, হতে পারে রাস্তায় কিংবা হাসপাতালে ওই নারী সংক্রমিত হয়েছেন। আমরা তার সংস্পর্শে আসা একজন ডাক্তার ও দুইজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com