1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুনামগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি ::
দশম জাতীয় সংসদের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন সমতায় পিছিয়ে থাকা হাওরজনপদে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে কাজ করারও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদে সরকার গঠন করে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্বপ্নের সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ২০২০ সালের ২ মার্চ (গতকাল সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খসড়া আইন চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়িত হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন জেলাবাসী। এদিকে শিক্ষাবিদ ও সুধীজনরা জানিয়েছেন মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনে দ্রুততম সময়ে প্রতিষ্ঠা ও একাডেমির কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে এটি হবে দেশের ২০তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ১৯টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “এটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভ, কনসেপটটা উনার কাছ থেকেই এসেছে। এটা (সুনামগঞ্জ) রিমোট এরিয়া, রিমোট এরিয়াতেও বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার, উনি (প্রধানমন্ত্রী) মেইনলি এটা প্রোমোট করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব বিধিবিধান পালন করে এই বিশ্ববিদ্যালয় আইন নিয়ে আসে।”
অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে ৫৫টি ধারা আছে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ ছাড়াও সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা আছে আইনে। এই আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৩২টি জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সব মিলিয়ে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৪২টি। এর মধ্যে ১৭টি সাধারণ, ছয়টি কৃষি ও ভেটেরিনারি, ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই দিন আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জেলার বৃহত্তর উন্নয়নের বড় কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন পাগলাবাজারের মহাসমাবেশে। ওইদিন তিনি সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ সড়ক ও রেললাইন সম্প্রসারণসহ কয়েকটি বৃহৎ কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সকলের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। এর মধ্যে গত বছর ছাতক-সুনামগঞ্জ রেললাইন সম্প্রসারণে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করায় সকল জটিলতার অবসান হয়েছে বলে মনে করেন তারা। এখন উপযুক্ত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, এটা হাওরবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। আমাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মানোন্নয়নের সর্বোচ্চ ধাপ। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে সেজন্য স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে। কারণ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও অবকাঠামো নেই। এদিকে এখনই নজর দিতে হবে।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা সবচেয়ে বড় আনন্দের এই খবরে উচ্ছ্বসিত। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে অচিরেই। চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলে সব বাধা দূর হয়ে গেল। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে আমাদের সন্তানদের পিছনে এখনই সময় ব্যয় করতে হবে। না হলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারবনা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল হাওরে একদিন বিশ্ববিদ্যালয় হবে। সারাদেশের ছেলেমেয়েরা আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে বলার পর তিনি সাথে সাথেই গত সরকারের সময়েই সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এবার সরকার গঠন করেই প্রায়োরিটি ভিত্তিতে তিনি কথা রেখেছেন। তিনি আমাদের উন্নয়নের বিষয়টি নিজে হাতে নিয়েছেন। আমি সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে উনাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com