স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান বলেছেন, সুনামগঞ্জের মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উপকরণ বোরো ধান। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে প্রায় সবরকমের কাজ করেন গ্রামের মহিলারা। কিন্তু এসকল কাজ শেষ করার পরেও কৃষাণীরা বছরের অনেকটা সময় বেকার বসে থাকেন। তাই আমার মতে সুনামগঞ্জের হাওরের মহিলাদের নকশীশিল্পের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। নকশীশিল্পের উন্নয়ন হলে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির পণ্য আবারো ফিরে আসবে।
তিনি আরো বলেন, নকশীশিল্প আমাদের হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। পুরুষের পাশাপাশি ঘরের মহিলারাও এসকল কাজ করেন তাহলে সংসারের কোন অভাব অনটন থাকবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ইউনেস্কোর অংশগ্রহণমূলক প্রোগ্রামের আওতায় নকশীশিল্প প্রদর্শনী ও মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরা’র নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল মাহমুদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার মো. তাজ উদ্দিন, নারী উদ্যোক্তা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, নারী উদ্যোক্তা শামীমা খান প্রমুখ।
এর আগে সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ নকশীশিল্প প্রদর্শনী ও মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।