স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান দেখতে শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন হাজারো জনতা। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনতা অংশ নেন। বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষসহ শিশুরাও ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান দেখতে ছুটে আসে। পরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি মুুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। জাতির জনকের কন্যা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠান বিটিভিতে প্রচারিত হয়। সেটি সরাসরি বড় পর্দায় সুনামগঞ্জেও ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে পুরো ঐতিহ্য জাদুঘরকে আলোকিত করে চারপাশ দৃষ্টিনন্দন করে সজ্জিত করা হয়।
অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। উৎসবে পরিণত হয় পুরো প্রাঙ্গণ।
বিকেল ৫টায় শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে বেলুন উড়িয়ে কম্পিউটারে মাউসের সাহায্যে ক্ষণগণনা যন্ত্রে মুজিববর্ষ উদযাপনের কাউন্টডাউনের উদ্বোধন করেন প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশের মতো সুনামগঞ্জেও জাঁকজমকভাবে ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নাদের বখত, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আফতাব উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. শফিকুল আলম, নারীনেত্রী শীলা রায়, সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবীর ইমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূরুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, নান্টু রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জুনেদ আহমদ, কোষাধ্যক্ষ ইশতিয়াক শামীম, জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, জেলা পরিষদ সদস্য ফোজি আরা বেগম শাম্মী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহ আবু নাসের, সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, প্রদীপ পাল নিতাই, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদ, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর খন্দকার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন প্রমুখ।