ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খয়েরদিরচর গ্রামে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দু’টি হ্যান্ডট্রলিতে থাকা ৫০ কেজি ওজনের ৯০ বস্তা এমওপি ও ইউরিয়া সার জব্দ করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ। ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের কৃষকদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া সার পাশের পাইকুরাটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগে এই সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওয়াসিম মিয়া (৩৫) ও নওয়াব আলী (৩২) নামের দুইজন হ্যান্ডট্রলি চালককে আটক করা হয়েছে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে নোয়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও মেসার্স আরেফিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সামছুল আলম (৫০) তার নিজ ইউনিয়নে বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। উপজেলার ধর্মপাশা মধ্যবাজারে ওই ডিলারের একটি সারের গুদাম রয়েছে। সার ডিলার সামছুল আলম (৫০) পার্শ্ববর্তী পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হেপারুল শাহের (৩৫) কাছে ৫০ কেজি ওজনের ৯০বস্তা এমওপি ও ইউরিয়া সার বিক্রি করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে দুটি হ্যান্ডট্রলিতে করে এসব সার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খয়েরদিরচর গ্রামের সামনের সড়কের মোড় থেকে ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ৯০ বস্তা ইউরিয়া ও এমওপি সার জব্দ করা হয়।
মেসার্স আরেফিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সামছুল আলম বলেন, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হেপারুল শাহ (৩৫) নামের এক কৃষকের কাছে আমি এই সার বিক্রি করেছি। উনি বড় মাপের একজন কৃষক। ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ও পরিবহন করার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের ওই কৃষকের কাছে এই সার বিক্রি করেছি। পাইকুরাটি ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার সাকের হোসেন সাগর বিষয়টি অবগত আছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি একটি প্রশিক্ষণে কুমিল্লায় আছি। একসঙ্গে ৯০ বস্তা সার কেউ কিনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কিছু বলা সম্ভব নয়।
ধর্মপাশা থানার এসআই আজিজুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে সার বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলার খয়েরদিরচর গ্রামের সড়কের মোড় থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৯০ বস্তা ইউরিয়া ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন হ্যান্ডট্রলির ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।